নায়াগ্রার নিচের ১০০ বছরের পুরনো সুড়ঙ্গে কী আছে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: নায়াগ্রা জলপ্রপাত উত্তর আমেরিকার নায়াগ্রা নদীর উপর অবস্থিত। মূলত তিনটি পাশাপাশি অবস্থিত ভিন্ন জলপ্রপাত নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত গঠিত। এই তিনটি জলপ্রপাতের মধ্যে সবচেয়ে বড়টি, হর্স্‌শু ফল্‌স বা কানেডিয়ান ফলস কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক স্টেটের সীমান্তে অবস্থিত। 

এই নায়াগ্রা জলপ্রপাতের নিচে থাকা একটি শতাব্দী প্রাচীন সুড়ঙ্গ আবারো খুলে দেওয়া হলো জনসাধারণের জন্য। পর্যটকদের ‘ঐতিহাসিক’ ঐ সুড়ঙ্গ দেখানোর জন্য এমনই পরিকল্পনা করা হয়েছে।


নায়াগ্রা জলপ্রপাতের নিচে থাকা এই সুড়ঙ্গটি ৮ মিটার লম্বা, ৬ মিটার চওড়া। সুড়ঙ্গটিতে প্রবেশ করতে হবে কানাডার দিকে জলপ্রপাতের যে অংশটি, তার কাছ দিয়ে। সুড়ঙ্গটি প্রায় ২২০০ ফুট (০.৬৭ কিলোমিটার) দীর্ঘ। একটি কাচের লিফটে করে পর্যটকদের ঐ সুড়ঙ্গের মুখ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। তারপরে অন্য একটি লিফটে করে সুড়ঙ্গের ১৮০ ফুট ভেতরে নিয়ে যাওয়া হলে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌছবেন তারা। এই সুড়ঙ্গটি আসলে ঐ বিদ্যুৎ কেন্দ্রেরই অংশ। 



১৯০৫ সালে জলপ্রপাতের কাছে জলশক্তি উৎপাদনের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কানাডা সরকার। কয়েক হাজার কর্মী প্রায় চার বছর ধরে কাজ করে সেটির নির্মাণকাজ শেষ করেন। সুড়ঙ্গের শেষে পৌঁছলে আধ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ পথটি হেঁটেই পার হতে হবে পর্যটকদের। তবে মাঝেমধ্যেই বসার জন্য বেঞ্চ থাকবে। 



সুড়ঙ্গের একদম শেষ প্রান্তে পৌঁছলে, নায়াগ্রা জলপ্রপাত খুবই কাছ থেকে দেখতে পাবেন পর্যটকেরা। কানাডা সরকারের নায়াগ্রা বিষয়ক সংস্থা ‘নায়াগ্রা পার্কস কমিশন’-এর ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গের শেষে ২০ মিটার দীর্ঘ একটি প্ল্যাটফর্ম বানানো হয়েছে, যাতে পর্যটকেরা সেখানে দাঁড়িয়ে জলপ্রপাতের দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। 


একটি লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো-র আয়োজনও করা হয়েছে যেখানে ঐ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইতিহাসের ব্যপারে জানতে পারবেন পর্যটকেরা। রাতের বেলাও সুড়ঙ্গ থেকে নায়াগ্রার শোভা দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.