বারে বারে সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগছেন? উপেক্ষা করবেন না, হতে পারে এমন কঠিন রোগ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: শীত পড়া মানেই সর্দি-কাশির সমস্যা। কখনও শুকনো কাশি, কখনও বা সর্দি-সাশির সমস্যা। আবার সারা বছরই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন অনেকে। এই সমস্যা অধিকাংশের কাছেই সাধারণ বিষয়। কিন্তু, জানেন কি এই সর্দি কাশির সমস্যাও দিতে পারে কঠিন শারীরিক জটিলতার ইঙ্গিত। যারা বারে বারে সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন, তারা এই সমস্যা উপেক্ষা করবেন না। সর্দি-কাশির সমস্যা একাধিক কঠিন শারীরিক জটিলতার ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। দেখে নিন কী কী।


এলার্জি- এলার্জির কারণে হতে পারে এমন সমস্যা। ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা, চোখ ও নাক দিয়ে জল জল পড়ার সমস্যা দেখা যায়। ধুলো, দুষণ বা নির্দিষ্ট ফ্যাব্রিক বা আর্দ্রতার কারণে হতে পারে এমন সমস্যা। এই অ্যালার্জি ব্রঙ্কাইটিস ও হাঁপানিতে পরিণত হতে পারে।


হাঁপানি- ধুলো, মাটি ও দূষণের কারণে অ্যাজমার সমস্যা হতে পারে। যদি বারে বারে শ্বাস কষ্ট হয়, কফের সমস্যা হয় তাহলে অবহেলা করবেন না। তাই সময় থাকতে সতর্ক হন।


সাইনোসাইটিস- সাইনোসাইটিসের কারণে ঘন ঘন সর্দি হয়। এই রোগে নাকের আস্তরণ ও সাইনাসের সমস্যা বাড়ে। ক্রমাগত সর্দি, গলা খুশখুশ, কানে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা উপেক্ষা করলে বড় আকার নিতে পারে।


নিউমোনিয়া- বারে বারে সর্দি, কাশির মতো সমস্যা নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে। এই সমস্যা উপেক্ষা করবেন না। ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে এমন সমস্যা হতে পারে। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। বারে বারে সর্দি-কাশির সমস্যা হলে তা উপেক্ষা করবেন না।


তেমনই সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলুন ঘরোয়া টোটকা। খেতে পারেন মধু। এতে আছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা গলার সমস্যা দূর করতে উপকারী। প্রতিদিন এক থেকে তিন বার এক টেবিল চামচ করে মধু খান। কিংবা ১ কাপ গরম জলে মধু দিয়ে পান করুন। এতে মিলবে উপকার। খেতে পারেন হলুদ। এটি অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যুক্ত। শুকনো কাশির সমস্যা দূর করতে এটি উপকারী। দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে হলুদ দুধ বানিয়ে খেতে পারেন। মিলবে উপকার। চাইলে মেনে চলতে পারেন একাধিক ঘরোয়া টোটকা। এতে মিলবে উপকার। বারে বারে সর্দি-কাশির সমস্যায় যারা ভুগছেন, তারা এই সমস্যা উপেক্ষা করবেন না। হতে পারে এমন কঠিন রোগ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.