আজব প্রেম, স্ত্রীকে ‘মৃত্যু’ উপহার দিলেন বৃদ্ধ স্বামী



 ODD বাংলা ডেস্ক: ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রীকে রোগযন্ত্রণায় ভুগছিলেন। বৃদ্ধ স্বামী স্ত্রীর এই কষ্ট মেনে নিতে পারছিলেন না। তিনি স্ত্রীকে মুক্তি দিতে চাইছিলেন। স্ত্রীর প্রতি এই প্রেমের প্রকাশ ঘটালেন অন্য এক উপায়ে। তিনি স্ত্রীকে মুক্তি দিতে খুন করেছেন। 

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের তথ্য, স্ত্রীর ইচ্ছাপূরণের জন্যেই তাকে যন্ত্রণাবিহীন মৃত্যু উপহার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু আইনের চোখে তিনি অপরাধী। যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা লঘু করতে আদালতে লড়ছেন তার আইনজীবীরা।


ঘটনাটি ঘটেছে সাইপ্রাসের এক দ্বীপে। ৭৫ বছর বয়সি ব্রিটিশ বৃদ্ধ ব্রিটন ডেভিড হান্টার এবং তার স্ত্রী সাইপ্রাসেই থাকতেন। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের দাম্পত্যে ছেদ পড়েছে বছর খানেক আগে। বৃদ্ধের স্ত্রী দুরারোগ্য লিউকোমিয়া রোগে ভুগছিলেন। রোগযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে তিনিই স্বামীর কাছে মৃত্যুভিক্ষা চেয়েছিলেন বলে দাবি। স্ত্রীর কথা রাখতে তাই ঐ বৃদ্ধ স্ত্রীকে খুন করেন। এটাই সাইপ্রাসের প্রথম ইউথেনেসিয়া বা যন্ত্রণাহীন হত্যার ঘটনা। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


প্রায় এক বছর জেল হেফাজতে থেকেছেন অভিযুক্ত বৃদ্ধ। স্ত্রীকে খুন করার পর তিনি নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তারপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশকে বৃদ্ধ জানিয়েছেন, স্ত্রীর ইচ্ছাপূরণ করতেই তাকে খুন করেছেন তিনি। তার স্ত্রী ক্যান্সারের প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন। রোগযন্ত্রণা আর সহ্য করতে না পেরে স্বামীর কাছে শেষ উপহার হিসাবে চেয়েছিলেন যন্ত্রণাহীন হত্যা। স্ত্রীকে তিনি অত্যন্ত ভালবাসতেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন অভিযুক্ত বৃদ্ধ।


সাইপ্রাসের আদালতে তিনি সাজা লাঘবের আবেদন জানিয়েছেন। সেই শুনানি চলছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হলেও পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে অন্তত ২৫ বছরের কারাদণ্ড তাকে ভোগ করতে হতে পারে। আগামী ৫ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।


হান্টারের আইনজীবী জানিয়েছেন, বৃদ্ধকে যত দ্রুত সম্ভব জেল থেকে মুক্ত করে বাড়ি ফেরানোই তাদের এক মাত্র লক্ষ্য।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.