চার মাস পর এই বিশেষ দিনেই নিদ্রাভঙ্গ হয় বিষ্ণুর! জানুন দেবোত্থান একাদশীর মাহাত্ম্য


ODD বাংলা ডেস্ক: হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশী তিথি প্রবোধিনী একাদশী বা দেবোত্থান একাদশী নামে পরিচিত। পুরাণ অনুযায়ী, দেবশয়নী একাদশীতে শ্রী বিষ্ণু নিদ্রা যান এবং তার চার মাস পর দেবোত্থান একাদশীতে তিনি নিদ্রা থেকে উত্থিত হন। দেবশয়নী একাদশী থেকে শুরু করে দেব-প্রবোধিনী একাদশী পর্যন্ত সময়কালকে চতুর্মাস বলা হয়। এই সময়ে যে কোনও রকম শুভকার্য নিষিদ্ধ। দেবোত্থান একাদশীতে ভগবান বিষ্ণু নিদ্রা থেকে জাগ্রত হন এবং পুনরায় মাঙ্গলিক কার্য শুরু হয়।

চলতি বছর দেবোত্থান একাদশী পড়েছে ৪ নভেম্বর, শুক্রবার। জেনে নিন, দেবোত্থান একাদশীর তিথি, শুভ মুহুর্ত ও পূজা বিধি সম্পর্কে -

একাদশী তিথি শুরু - ০৩ নভেম্বর, সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে।
একাদশী তিথি শেষ - ০৪ নভেম্বর, সন্ধ্যা ৬টা ০৮ মিনিটে। 

পুজোর বিধি 
একাদশীর দিন ব্রহ্ম মুহুর্তে স্নান সেরে ব্রত পালনের সঙ্কল্প নিন। বিষ্ণুর ছবি বা মূর্তির অভিষেক করান। শ্রী বিষ্ণুর মূর্তির সামনে তাঁকে জাগ্রত হওয়ার আহ্বান। সন্ধ্যায় পূজার স্থানে ১১টি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। সম্ভব হলে আখ দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করে তার মাঝখানে বিষ্ণু মূর্তি রাখুন। শ্রী হরিকে ফুল, ফল, মিষ্টি, তুলসী নিবেদন করুন।

দেবোত্থান একাদশীতে তুলসী বিবাহের রীতি আছে। এই দিন তুলসী গাছের সঙ্গে ভগবান বিষ্ণু বা তাঁর অবতার শ্রীকৃষ্ণ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, তুলসী হলেন বিষ্ণুর পত্নী। তাই এই দিন তুলসীর সঙ্গে বিষ্ণুর আনুষ্ঠানিক বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.