ডায়াবেটিক রোগী কতটুকু মিষ্টি খাবেন
ODD বাংলা ডেস্ক: ডায়াবেটিস রোগটিই হলো রক্তে শর্করা বিপাকজনিত সমস্যার একটি রোগ। ফলে ডায়াবেটিস ডায়াগনসিস হওয়া মাত্রই ওই ব্যক্তির জন্য প্রথমেই শর্করা জাতীয় খাদ্য (চিনি, গুড়, মিষ্টি, মিষ্টিজাতীয় খাবার, মিষ্টি ফল) গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কখনো কখনো বাদ দেওয়া হয়। কেননা এই ক্ষেত্রে রোগীর রক্তে সুগার বেড়ে গিয়ে হাইপারগ্লাইসেমিয়া হয়ে ডায়াবেটিক কিটোএসিতোসিস অথবা হাইপার অসমোলার নন-কিটোটিক কোমার মতো মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে, যা প্রধানত অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে দেখা দেয়।
আর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে, এই কথাটি বলার আগে অবশ্যই আপনার রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়। আর তা হলো—ডায়াবেটিক ব্যক্তি কি মিষ্টি বা চিনি খেতেই পারবেন না? অবশ্যই পারবেন। আর আপনার মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া নির্ভর করছে, আপনি আপনার রক্তের সুগার বা শর্করা বা আপনার ডায়াবেটিস কতটা নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন তার ওপর।
♦ যদি আপনার ব্লাডসুগার সুপার কন্ট্রোলে থাকে অর্থাৎ নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছেন, পরিমিত খাদ্যাভ্যাস মেনে চলেন ও প্রতিদিন হাঁটা বা ব্যায়াম নিয়মিত করে থাকেন। তবে মাঝেমধ্যে আপনি ১ সার্ভিং মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে পারবেন। তবে এই মিষ্টি জাতীয় খাবারটি অন্য কোনো কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবারের পরিবর্তে খেলে তো কথাই নেই। আর রিপ্লেস না করে খেতে পারলে সেদিন ২০-৩০ মিনিট অতিরিক্ত হেঁটে নিন।
♦ আর যাঁরা ইনসুলিন নিচ্ছেন, তাঁদের সুবিধা আরেকটু বেশি। যেদিন মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হবে, সেদিন খাওয়ার আগের ইনসুলিনের ডোজ ১ ইউনিট বাড়িয়ে নিতে পারেন। কিংবা, ভাত বা রুটির পরিবর্তে শীতের পিঠা কিংবা মিষ্টি বা ডেজার্ট টুকু খেয়ে নিন। এর সঙ্গে বেশি করে সবজি-সালাদ ও মাছ-মাংসের অংশটুকু খেতে ভুলবেন না কিন্তু।
♦ শীতের চিতই পিঠা, ফিট রুটি, চালের আটার রুটি দিয়ে মাংস ভোজন কিন্তু অনায়াসেই হতে পারে দুপুর এবং রাতের ভাত ও রুটির পরিবর্তে। প্লেটের বাকি সব খাবারের পরিমাণ ঠিক রাখুন আগের পরিমাণে।
Post a Comment