ডাবের জল কি সত্যিই ওজন কমায়?

ODD বাংলা ডেস্ক: ওজন কমানোর বিভিন্ন রকম চেষ্টা করে ক্লান্ত? এবার কি হালকা ধরনের কোনো উপায় খুঁজছেন? এক্ষেত্রে আপনার জন্য উপকারী হতে পারে ডাবের জল। সুস্বাদু এই প্রাকৃতিক পানীয় খেলে তা আপনাকে কেবল সতেজই করবে না, সেইসঙ্গে আপনার কোমরের মাপও কমিয়ে আনবে। পুষ্টিবিদ বিধি চাওলার মতে, ডাবের জল সবচেয়ে কার্যকরী হাইড্রেটিং ড্রিংকগুলোর মধ্যে একটি। সেইসঙ্গে এটি শরীরেরর বাড়তি মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে। 
কম ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট

ডাবের জলে থাকে খুবই অল্প ক্যালোরি। যে কারণে এটি আমাদের পেটের জন্য বেশ হালকা ও প্রশান্তিদায়ক। এই পানীয়তে আরও থাকে পটাশিয়াম ও জৈব এনজাইম। যে কারণে ডাবের জল খেলে হজম ভালো হয়। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও থাকে খুব কম। যদিও ডাবের জল পান করলে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার পেট ভরিয়ে রাখে।

অতিরিক্ত চিনি নেই

অন্যান্য ফলের রসের তুলনায় ডাবের জলে অনেক বেশি মিনারেল উপস্থিত থাকে। বেশিরভাগ ফলের রসেই অতিরিক্ত চিনি থাকে তবে ডাবের জলের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। এই পানীয়তে চিনির মাত্রা থাকে খুবই কম। ডাবের জল অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা স্থিতিশীল করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

মেটাবলিজম বাড়াতে কাজ করে

ডাবের জলে থাকে পর্যাপ্ত পুষ্টি, পটাশিয়াম ও এনজাইম যা মেটাবলিজম বাড়াতে কাজ করে। যে কারণে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরানো সহজ হয়। মেটাবলিজম প্রক্রিয়া ধীর হলে তা হজমপ্রক্রিয়াও ধীর করে। যা ওজন বাড়ানোর অন্যতম কারণ। ডাবের পানি এক্ষেত্রে অন্যতম সহায়ক হতে পারে। স্বাস্থ্যকর ও সঠিক হজম প্রক্রিয়ার জন্য ডাবের পানি পান করুন।

অনেকটা পান করলেও ক্ষতি নেই

ডাবের জলে থাকে লরিক এসিড যা একবারে অনেকখানি খেতে সাহায্য করে। অর্থাৎ আপনি ডাবের জল খেতে শুরু করলে একবারে অনেকটা খেতে পারবেন। অরুচি লাগবে না। এই পানীয়তে কোনো ধরনের ফ্যাট নেই। দিনের শুরুতে ডাবের জল পান করলে তা আপনাকে সারাদিন সতেজ রাখবে। এতে কোনো ধরনের কার্বোহাইড্রেটও নেই। তাই পেট ভরে খেলেও কোনো সমস্যা নেই। এতে থাকা পটাশিয়াম আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করে দিতে কাজ করবে। যে কারণে ওজন কমানো সহজ হবে।

কখন ডাবের জল খাবেন?

পুষ্টিবিদ বিধি চাওলার মতে, সকালে খালি পেটে ডাবের জল পান করতে পারলে সবচেয়ে ভালো। এছাড়া আপনি অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য দিনে তিনবার ডাবের জল পান করতে পারেন। ডাবের জল খেলে তা আপনার শক্তি বাড়াতে কাজ করবে। এটি কিডনি ও হার্ট ভালো রাখে। সেইসঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রায়ও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.