হাত থেকে সিঁদূর কৌটো পড়ে যায়? জানেন কোন অঘটনের ইঙ্গিত এটি?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: অনেক সময় এগুলি হাত থেকে পড়ে গিয়েছে, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা এগুলিকে সাধারণ ঘটনা মনে করে খুব বেশি গুরুত্ব দিই না। কিন্তু ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করলে কিছু জিনিস হাত থেকে পড়ে ছড়িয়ে যাওয়া মোটেও শুভ ঘটনা নয়। এই সমস্ত ঘটনার পিছনে কোনও না-কোনও ইঙ্গিত রয়েছে। শাস্ত্র মতে এই জিনিসগুলিকে যত্নে রাখতে হয়। আবার ব্যবহারের সময়েও সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ এই জিনিসগুলি হাত থেকে পড়ে যাওয়া মোটেও শুভ ঘটনা নয়। শাস্ত্রে কোন জিনিস পড়ে যাওয়াকে অশুভ মনে করা হয়, তা জেনে নেওয়া যাক।


​পুজোর প্রদীপ হাত থেকে পড়ে যাওয়া


মনে করা হয় যে ব্যক্তির ভালো-মন্দ সময়ের ইঙ্গিত দেন ঈশ্বর। এমন কিছু সংকেত রয়েছে যা কোনও সমস্যার আগমনের ইঙ্গিত করে। যেমন হাত থেকে প্রদীপ পড়ে যাওয়া। অনেকের ধারণা হাত থেকে প্রদীপ যাওয়ার অর্থ দেবতারা আপনার প্রতি রুষ্ট আছেন। আপনার সঙ্গেও এমন কোনও ঘটনা ঘটলে কুলদেবতার পুজো করুন। তার পর হাত থেকে যত প্রদীপ পড়ে গিয়েছে তত প্রদীর প্রজ্জ্বলিত করবেন।


​দেবতার মূর্তি বা ছবি পড়ে যাওয়া


প্রতিদিন বা সপ্তাহে একবার বিশেষত লক্ষ্মীবারে আমরা দেবতাদের আসন, মূর্তি, ছবি পরিষ্কার করি। শাস্ত্র মতে, দেবতাদের মূর্তি বা ছবি পরিষ্কার করার সময় সতর্ক থাকা উচিত। উল্লেখ্য হাত থেকে দেবতাদের ছবি বা মূর্তি পড়ে যাওয়াকে শুভ মনে করা হয় না। শাস্ত্র মতে এই ঘটনা পরিবারের কোনও বরিষ্ঠ সদস্যের ওপর আগত সঙ্কটের দিকে ইশারা করে। এ ছাড়াও পরিবারে বড়সড় সমস্যা দেখা দেওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। দেবতাদের ছবি বা মূর্তি ভুল করে ভেঙে গেলে তা জলে প্রবাহিত করে দিন। আবার ছবির কাঁচকে জলে ফেলার পরিবর্তে মাটিতে পুঁতে দিন।


​কলস ও জল ভরতি বাসন পড়ে যাওয়া


পুজোর জন্য জল ভরতি কলস হাত থেকে পড়ে যাওয়াকেও শুভ ঘটনা মনে করা হয় না। কলস বা জল ভরতি পাত্র পড়ে গিয়ে জল ছড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে পিতৃপুরুষদের সঙ্গে অসন্তোষকে যুক্ত করে দেখা হয়। এর ফলে পরিবারে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, শীঘ্র এমন কোনও তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত ব্যক্তি আপনার ঘরে আসতে পারে। প্রাচীনকালে কারও সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটলে বেশি পরিমাণে খাবার রান্না করা হত, যাতে কেউ এলে তাঁরা পেট ভরে খেতে পারে এবং পরিবারের সদস্যদেরও কোনও অভাব না-হয়।


​হাত থেকে প্রসাদ পড়ে যাওয়া


পুজোর পর হাতে প্রসাদ নিয়ে রয়েছেন এবং কোনও কারণে পড়ে যাওয়াকেও শুভ মনে করা হয় না। প্রসাদ পড়ে গেলে সেটি শীঘ্র তুলে প্রণাম করে নিন। সেই প্রসাদ না-খেলে জলে প্রবাহিত করে দেবেন অথবা ফুলগাছের টবে রেখে দেবেন। এর ফলে প্রসাদের অপমান করা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। প্রসাদকে ঈশ্বরের আশীর্বাদ ও যে ব্যক্তি আপনাকে প্রসাদ দিয়েছে তাঁর শুভেচ্ছা হিসেবে গণ্য করা হয়। শাস্ত্র মতে, প্রসাদ পড়ে যাওয়ার অর্থ ব্যক্তির কোনও ইচ্ছা পূরণ হতে গিয়েও অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। কাজ শেষ করতে পারবেন না। অসাফল্যের কারণে জীবনে অবসাদ বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত দেয় এই ঘটনা।


​সিঁদূর পড়ে যাওয়া


সিঁদূরকে বিবাহিতা স্ত্রীর সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী সিঁদূরকে শুভ ও সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করা হয়। তাই হাত থেকে সিঁদূরের কৌটো পড়ে গেলে, তাঁকে স্বামী ও পরিবারের ওপর আসন্ন সংকটের সঙ্গে যুক্ত করে দেখা হয়। মনে করা হয় এমন কিছু ঘটলে স্বামীর জীবনে সমস্যার মেঘ ঘনিয়ে আসতে পারে। হাত থেকে সিঁদূর কৌটো পড়ে গেলে তাতে যাতে পা না-লাগে সে দিকে লক্ষ্য রাখুন। এমনকি ঝাঁটা দিয়েও সিঁদূর পরিষ্কার করবেন না। এর পরিবর্তে কোনও পরিষ্কার কাপড় দিয়ে জড়ো করে কৌটোয় ভরে নিন। মেঝেতে অবশিষ্ট পড়ে থাকা বা নষ্ট হয়ে যাওয়া সিঁদূর জলে প্রবাহিত করে দিন। তার পর ঈশ্বরের সামনে সকলের মঙ্গল কামনা করুন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.