রাতে খাবার পর এই ছোট্ট ভুলে বাড়ছে শরীরের ওজন, জেনে নিন কিছু নিয়ম



 ODD বাংলা ডেস্ক: ওজন কমানোর কথা মাথায় আসলে সকলেরই সর্ব প্রথম খাদ্যতালিকায় বদলে ফেলেন। মেদ কমাতে সবার আগে বাদ দেন ক্যালোরি যুক্ত খাবার। তেমনই কেউ কেউ প্রচুর এক্সারসাইজ করেন। দৌড়াদৌড়ির জীবনে সুস্থ থাকাটা কোনো কাজের চেয়ে কম নয়। ভালো লাইফস্টাইল এবং ভালো ডায়েট রুটিন এর সাথেও অনেক কিছুর যত্ন নেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এটা জেনে রাখা উচিত যে ভালো ডায়েট থাকা সত্ত্বেও এবং সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও আমরা সহজেই রোগের কবলে পড়ে যাচ্ছি।


বাঙালির উৎসব মানেই ভুঁড়ি ভোজ। এই মরশুমে রেস্তোরাঁ থেকে বাড়ির খাবার- সব নিয়ে চলেছে এক্সপেরিমেন্ট। পুজোর এই কদিন আনন্দ করতে গিয়ে বেড়েছে কয়ের কিলো। এবার সেই বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলার পালা। বাড়তি মেদ শুধু যে দেখতে খারাপ লাগে তা নয়। তা একাধিক রোগের কারণও বটে।


আজ আমরা যে পরিবেশে বাস করছি, সেখানে স্বাস্থ্যের বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। এখানে আমরা এই প্রতিবেদনে ডিনার করার পরে একটি ভুল করি, তার উল্লেখ করতে চলেছি। রাতের খাওয়ার শেষ করার পরে এই ভুল অতিরিক্ত ওজনের বড় কারণ হতে পারে।


আসলে, খুব কম লোকই জানেন যে রাতের খাবারের ঠিক পরে ঘুমানোর অবস্থান বা স্লিপিং পজিশন কোনটি। জেনে নিন রাতে খাবার খেয়ে কোন অবস্থায় ঘুমানো উচিত এবং এর উপকারিতা কী।


রাতের খাবারের পর এই অবস্থানে ঘুমান


যাইহোক, রাতে খাবারের সাথে সাথে বসে থাকা বা শুয়ে পড়া উচিত নয়। এই ভুলের কারণে খাওয়া খাবার উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি করে। দুপুর বা রাতের খাবারের পর একটু হাঁটতে হবে এবং প্রায় ২ ঘণ্টা পর ঘুমাতে হবে। খাবার খাওয়ার পর সবসময় বাম দিকে ঘুমানো উচিত। এছাড়া পেট ভরে খেয়ে ঘুমানোও উপকারী।


বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানোর উপকারিতা


চিকিৎসকরা বলেন, আমরা যদি বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমাই তবে তা আমাদের হজমে কোনো প্রভাব ফেলে না। সেই সঙ্গে খাবারও ঠিকমতো হজম হয়। রাতের খাবারের পর সঠিক অবস্থানে না ঘুমালে অ্যাসিডিটি বা বুকজ্বালা হতে পারে। এমন অবস্থায় সবসময় বাম দিকে বা পেট ভরে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।


এটি এই রোগীদের জন্যও উপকারী


বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো নানাভাবে উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদরোগীরা যদি বাম দিকে ঘুমান, তাহলে তা তাদের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এই অবস্থায় ঘুমাতে কোন সমস্যা নেই। প্রত্যেক মানুষকে খাবার খাওয়ার পর দুই ঘণ্টা সক্রিয় থাকতে হবে, যার ফলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.