ডিভোর্স কেন হয়? কোষ্ঠীর এই দশাই বিবাহবিচ্ছেদের জন্য দায়ী!
ODD বাংলা ডেস্ক: জ্যোতিষ অনুসারে দু-জন মানুষ যখন বিবাহিত সম্পর্কে আবদ্ধ হন, তখন তাঁদের মধ্যে ভবিষ্যতে কতটা মিল হবে তা দেখে নেওয়া জরুরি। এই কারণে অনেকে বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর কোষ্ঠী বিচার করে নেন। তবে অনেক সময়ই দেখা যায় যে বিবাহিত সম্পর্ক সুখের হয় না। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সমস্যা এমন তীব্র আকার নেয় যে তাঁরা পরস্পরের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আজকাল অনেকেরই ডিভোর্স হয়ে যেতে দেখা যায়।
কিন্তু কেন ডিভোর্স হয়? জ্যোতিষ অনুসারে তার কারণ লুকিয়ে আছে জন্মছকেই। আজ আমরা দেখে নেব কোষ্ঠীর কোন দশা চললে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যেতে পারে।
* দাম্পত্য সম্পর্কে মঙ্গল গ্রহের বড় ভূমিকা রয়েছে। সেই কারণে মঙ্গলের অবস্থান খারাপ থাকলে মাঙ্গলিক দশা বলা হয়। কোষ্ঠীর প্রথম, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম অথবা দ্বাদশ ঘরে মঙ্গল অন্য কোনও অশুভ গ্রহের সঙ্গে যুক্ত হলে বিবাহিত সম্পর্কে টালমাটাল দেখা যায় এমনকি শেষ পর্যন্ত তা ডিভোর্স পর্যন্ত গড়ায়।
* কোষ্ঠীর সপ্তম ঘরের অধিপতি যদি ষষ্ঠ মঙ্গলের সঙ্গে অবস্থান করে, তবে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আচমকা মতপার্থক্য তীব্র হয়ে উঠে তা ডিভোর্স পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।
* আবার সপ্তম ঘরের অধিপতি ষষ্ঠ ঘরে শনির সঙ্গে অবস্থান করলেও দাম্পত্য সম্পর্কে চূড়ান্ত অবনতি দেখা দেয় ডিভোর্সের মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
* অনেক ক্ষেত্রে এমন হয়, পাত্র-পাত্রী যে সময়ে বিয়ে করছে, গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান অনুসারে তা বিয়ের জন্য উপযুক্ত নয়। সেক্ষেত্রেও পরবর্তীকালে বিবাহিত জীবন সুখের হয় না এবং স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যেতে পারে। সেই কারণেই পঞ্জিকা দেখে বিয়ের শুভ দিন বিচার করে তবেই বিয়ে করার পরামর্শ দেন শাস্ত্রবিদরা।
* পাত্রের জন্মছকে শুক্র এবং পাত্রীর জন্মছকে মঙ্গলের আধিপত্য থাকলে বিয়ের পর নানা সমস্যা লেগেই থাকবে।
* পাত্রীর জন্মছকের প্রথম ও সপ্তম ঘরে অথবা পঞ্চম ও একাদশ ঘরে শনি ও মঙ্গল পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থান করলে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল।
* পাত্র বা পাত্রীর জন্মছকে মঙ্গল দ্বিতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম অথবা দ্বাদশ ঘরে অবস্থান করলে তাকে মঙ্গল দশা বলে। এর ফলে দাম্পত্য সম্পর্কে অশান্তি লেগেই থাকে।
* সপ্তম ঘরে সূর্যের উপস্থিতিও ডিভোর্সের কারণ হতে পারে।
Post a Comment