ভুলেও হাতে লাল সুতো বাঁধবেন না এই ২ রাশির জাতক, বাড়তে পারে দুর্ভোগ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: পুজোর পর হাতে যে মৌলী সুতো বেঁধে দেওয়া হয় তার রঙ অধিকাংশ লাল। জ্যোতিষ অনুযায়ী লাল সুতো পরার একাধিক লাভ রয়েছে। কিন্তু এর পাশাপাশি জ্যোতিষ এ-ও জানায় যে কিছু রাশির জাতকদের লাল সুতো পরতে নেই। লাল সুতো পরার উপকারিতা, কোন রাশির জাতকদের এই সুতো পরতে নেই ও কারা এই সুতো বাঁধবেন জেনে নেওয়া যাক।


লাল সুতো বাঁধার উপকারিতা


প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী হাতে মৌলী সুতো বা লাল সুতো বাঁধলে লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। পাশাপাশি রাম ভক্ত হনুমানের আশীর্বাদও লাভ করা যায়। কব্জিতে লাল রঙের সুতো বাঁধলে কোষ্ঠীতে মঙ্গল শক্তিশালী হয়। এর ফলে জাতক ধনলাভ করতে পারে। জ্যোতিষ অনুযায়ী লাল সুতো পরলে শরীরে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয়। এর ফলে জীবনে সুপ্রভাব পড়ে।


কোন রাশির জাতকরা লাল সুতো পরবেন না?


জ্যোতিষ অনুযায়ী মকর ও কুম্ভ রাশির অধিপতি শনিয। তিনি লাল রঙ এক্কেবারেই পছন্দ করেন না। তাই শনিকে কোনও লাল জিনিস অর্পণ করা হয় না। বরং কালো রঙ শনির প্রিয়। তাই শনিবার অনেকে শনি মন্দির কালো তিল অর্পণ করেন, কালো পোশাক পরেন। তাই এই দুই রাশির জাতকদের লাল সুতো বা লাল মৌলী সুতো বাঁধতে নেই। এর পরিবর্তে হাতে নীল রঙের সুতো বাঁধতে পারেন। নীল রঙও শনির প্রিয়।


কারা লাল সুতো পরতে পারেন?


জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী মেষ, সিংহ ও বৃশ্চিক রাশির জাতককে লাল কার বা মৌলী সুতো পরতে নেই। এই রাশির জাতকরা লাল সুতো বাঁধলে হনুমানের আশীর্বাদ লাভ করেন। এঁদের কোষ্ঠীতে মঙ্গল মজবুত পরিস্থিতিতে বিরাজ করে।


লাল সুতো বাঁধার বৈজ্ঞানিক কারণ


বিজ্ঞান অনুযায়ী কব্জি হয়ে বিভিন্ন শিরা-উপশিরা, স্নায়ু শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে গিয়ে পৌঁছয়। হাতে লাল সুতো বাঁধলে এই শিরার ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে। এর ফলে ত্রিদোষ অর্থাৎ বাত, পিত্ত ও কফের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় থাকে। তাই কব্জিতে এই সুতো বাঁধলে ব্যক্তি সুস্থ থাকে। মনে করা হয় এর ফলে রক্তচাপ, হৃদরোগ, মধুমেহ, প্যারালিসিসের মতো শারীরিক সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


লাল সুতোর উপায়


লাল কার বা মৌলী সুতো হাতে বাঁধলে একাধিক সমস্যার সমাধান হয়। অন্য দিকে এই সুতোর কিছু সহজ উপায় আপনাকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে দিতে পারে। উপায়গুলি জেনে নেওয়া যাক।


১. মঙ্গলবার নিজের দৈর্ঘ্যের সমান মাপের লাল কার বা মৌলী সুতো আমপাতায় পেঁচিয়ে নিন। এই সুতোটি আম পাতায় প্যাঁচানোর সময় নিজের মনস্কামনা বলুন। তার পর পুরুষরা বজরংবলীর মন্দিরে এবং স্ত্রীরা শিব মন্দিরে গিয়ে এই সুতো পরে নিন।


২. অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে বা চাকরি লাভের জন্য যে কোনও দিন খাবার খাওয়ার আগে গণেশ মন্দিরে গিয়ে এই সুতো ডান হাতে বেঁধে নিন। এর ফলে কষ্ট কমবে। পাশাপাশি চাকরি লাভের পথ প্রশস্ত হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.