নীতা আম্বানির শখের জিনিসপত্রের দাম কত জানেন কী?



 ODD বাংলা ডেস্ক: দেশের অন্যতম ধনকুবেরের ঘরনি তিনি। সেই সঙ্গে মুম্বই ইন্ডিয়ানস ক্রিকেট টিমের মালকিন। তাই নীতা আম্বানির ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে উৎসুক অনেকেই। তার সাজগোজও আলাদা করে নজর করে। শাড়ি কিংবা লেহেঙ্গা- সবকিছুতেই আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেন মুকেশ-পত্নী। 


নীতার পরনের পোশাক, কুমিড়ের চামড়ার দিয়ে তৈরি ব্যবহৃত ব্যাগ নিয়ে কম চর্চা হয় না। দাবি করা হয়, নীতা নাকি বিশ্বের সবচেয়ে দামি জল খান। ৭৫০ মিলিলিটার জলের বোতলের দাম প্রায় ৬০ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৪ লাখ ৪১ হাজার ২৫১ কাটা। নীতার বোতলবন্দি ঐ জল আসে ফ্রান্স এবং ফিজি থেকে। 


শোনা যায়, এই পানীয় স্বর্ণভস্ম মিশ্রিত। প্রায় ৫ গ্রাম মতো স্বর্ণভস্ম থাকে এতে। যা মানবদেহের পক্ষে নাকি খুবই স্বাস্থ্যকর। সেই জন্যেই এই জল বহুমূল্য। এখানেই শেষ নয়। চাকচিক্য এবং বিলাসিতার ছোঁয়া লেগে রয়েছে তার জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে। 


সকালে ঘুম ভেঙে যে চায়ের কাপে তিনি চুমুক দেন, তার দাম নাকি সাড়ে তিন লাখেরও বেশি টাকা। তার বিভিন্ন শখের মধ্যে এটাই একটা। জাপানের প্রাচীনতম বাসনপত্র তৈরির সংস্থা থেকে ২২ ক্যারাট সোনা ও প্ল্যাটিনাম খচিত একটি ক্রকারি সেট কেনেন নিজের জন্য। পুরো সেটটির দাম দেড় কোটি টাকা।


ঘড়ি নিয়েও যথেষ্ট খুঁতখুঁতে তিনি। তার সংগ্রহে বুলগারি, র‌্যাডো, গুচ্চি, কেলভিন ক্লেন, ফসিলের মতো বিশ্বের সেরা ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার ঘড়ি। হাতব্যাগের প্রতিও যেন নীতা আম্বানির আলাদা ভালোবাসা। কুমীরের চামড়া দিয়ে তৈরি ২ কোটি ৬ লাখ ভারতীয় টাকা দামের ব্যাগ নিয়ে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছিল। 


২০১৭ সালে ঐ ব্যাগটি ব্রিটেনে ‘ক্রিস্টিজ’-এ নিলামে উঠেছিল। এই তালিকায় রয়েছে আরো অনেক। যার বেশির ভাগের দামই প্রায় ৩০ লাখ টাকা। জুতার ব্যাপারেও তার পছন্দ একেবারে আলাদা। নীতা আম্বানির জুতার ব্যাগ তাক জুড়ে আলো করে থাকে ‘পাদ্রো’, ‘গ্রাসিয়া’-র মতো নামী-দামি বিদেশি সংস্থার জুতা। সূত্রের খবর, নীতা নাকি এক জুতা কখনো দুইবার পরেন না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.