যে কারণে রাতকানা রোগ হয়, লক্ষণ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: রাতকানা হলো এমন একটি রোগ, যাতে রাতের বেলায় বা স্বল্প আলোতে দৃষ্টিশক্তির অবনতি হয়। এই রোগে অপেক্ষাকৃত স্বল্প আলোয় দেখা কঠিন বা প্রায় অসম্ভব। এটা আসলে কিছুটা চোখের রোগের উপসর্গ। কারো ক্ষেত্রে জন্ম থেকে এই সমস্যা থাকে।


এ ছাড়া চোখে আঘাত বা অপুষ্টির কারণে (যেমন ভিটামিন-এ-এর অভাব) এই সমস্যা হতে পারে। রাতকানা রোগে স্বল্প আলো বা অন্ধকারে চোখের অভিযোজন ক্ষমতা হ্রাস পায় বা নষ্ট হয়ে যায়।


কারণ


ভিটামিন-এ-এর অভাব। ডায়রিয়া, হাম, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগের কারণে শরীরে ভিটামিনের অভাব দেখা দেয়। এই ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ হয়। বাচ্চা জন্মকালীন ওজন কম হলে, বাড়ন্ত বয়সে শরীরে অতিরিক্ত খাদের চাহিদা পূরণ না হলে এবং অপুষ্টিতে ভোগার ফলে এই রোগ হয়ে থাকে।


বিশেষ ওষুধ যেমন ফেনোথায়াজিন গ্রহণের ফলেও রাতকানা রোগ হতে পারে। চোখের বিভিন্ন চিকিৎসা যেমন ল্যাসিক, ফটোরিফ্রেক্টিভ কেরাটেক্টমি, রেডিয়াল কেরাটোটমির কারণেও রাত্রিকালীন দৃষ্টি হ্রাস পেতে পারে।


লক্ষণ


-    হালকা আলোতে দুর্বল দৃষ্টিশক্তি


-    রাতে ড্রাইভিং করার সময় অসুবিধা


-    চোখের অস্বস্তি দেখা দেওয়া


চিকিৎসা


চিকিৎসক আপনাকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল দেবেন। উচ্চমাত্রায় ভিটামিন-এ ব্যবহারে কিছুটা সুফল পাওয়া যেতে পারে। প্রাণিজাত যেমন কলিজা এবং শাক-সবজি যেমন গাজর, পালংশাক, মিষ্টিকুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ বিদ্যমান। যাঁরা ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ ওষুধ সেবন সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের জন্য পেশিতে ভিটামিন-এ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। যেহেতু ভিটামিন-এ-এর অভাব হলো একটি পদ্ধতিগত রোগ, তাই চোখের ড্রপ ব্যবহারে কোনো সুফল পাওয়া যায় না। চিকিৎসা নিলে রোগটি সম্পূর্ণ নিরাময় হয়।


প্রতিরোধ


বাচ্চাকে প্রথম পাঁচ মাস শুধু বুকের দুধ খাওয়াতে হবে? বুকের দুধ শিশুকে রাতকানা হওয়া থেকে রক্ষা করে? বুকের দুধ সম্ভব হলে শিশুর দুই বছর বয়স পর্যন্ত খাওয়াতে হবে?


বাচ্চা হওয়ার দুই সপ্তাহ পর মাকে দুই লাখ আই.ইউ. ভিটামিন-এ-এর এক ডোজ খাওয়াতে হবে?


শিশুকে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার (হলুদ ফলমূল ও শাক-সবজি, ডিম/দুধ/কলিজা, মাছ, মাংস,) খাওয়াতে হবে?


ছয় মাস বয়স থেকে শুরু করে ছয় বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি ছয় মাস অন্তর উচ্চমাত্রার ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে?


বাচ্চা অপুষ্টিতে ভুগলে, হাম, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসার পাশাপাশি ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে?


চোখের কালো অংশে কোনো পরিবর্তন (যেমন- ধোঁয়াটে, ঘোলা, ছিদ্র, সাদা হওয়া) দেখা দিলে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে?

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.