দাঁতের সংখ্যা ২৫, মাড়ি কালো? দুর্ভাগ্য আপনার সঙ্গী! বলছে শাস্ত্র
ODD বাংলা ডেস্ক: শাস্ত্র মতে প্রতিটি ব্যক্তির দাঁত, জিহ্বা, মাড়ি তাঁদের ব্যক্তিত্ব ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানিয়ে থাকে। দাঁতের সংখ্যা, আকৃতি, দাঁত কত চওড়া ও মোটা এ সবের বিচার বিশ্লেষণ করে সেই ব্যক্তির ভবিষ্যৎ জানাতে পারে সামুদ্রিক শাস্ত্র ।
দাঁত দেখে কী ভাবে ব্যক্তির ভবিষ্যৎ জানবেন?
১. পরস্পরের সঙ্গে সমানভাবে জুড়ে থাকা দাঁত শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না, বরং সামুদ্রিক শাস্ত্র মতে এমন দাঁত যে পুরুষ বা মহিলার থাকে, তাঁদের জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
২. যে জাতক-জাতিকাদের দুটি দাঁতের মাঝে দূরত্ব থাকে তাঁদের সাফল্যের পথে প্রচুর বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এমন দাঁত রয়েছে যে জাতকদের তাঁরা জীবনে একাধিক সুযোগ হারিয়ে ফেলেন।
৩. সাদা ও হাল্কা হলুদ রঙের দাঁতকে শুভ মনে করা হয়। যে জাতক বা জাতিকাদের এমন দাঁত থাকে তাঁরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান হন। অন্য দিকে যাঁদের দাঁত উজ্জ্বল ও চকচকে সেই জাতকরা জীবনে বিরোধিতার মুখে পড়েন। দুর্ভাগ্যের সূচক হয় এমন দাঁত। শাস্ত্র মতে যে জাতকদের এমন দাঁত রয়েছে তাঁদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়।
৪. অন্য দিকে যে জাতকদের সমস্ত দাঁতের মাঝে একটুও দূরত্ব থাকে না, তাঁদের ওপর বিশ্বাস করবেন না। এই জাতকরা সমাজের পক্ষেও ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে।
৫. প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ৩২টি দাঁত থাকে। সামুদ্রিক শাস্ত্র মতে যে ব্যক্তির দাঁতের সংখ্যা ৩১-৩২ তাঁরা জীবনে প্রচুর মান-সম্মান ও খ্যাতি অর্জন করেন।
৬. অন্য দিকে যাঁদের দাঁতের সংখ্যা ২৮-৩০ তাঁদের জীবনে হাসি-কান্না লেগে থাকে। এই জাতকরা যেমন জয়ের আনন্দ উপভোগ করেন, তেমনই পরাজয়ও স্বীকার করতে হয় এঁদের।
৭. সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী যে জাতকের ২৫-২৭টি দাঁত রয়েছে তাঁদের সারা জীবন স্বাস্থ্য় সমস্যার মধ্য দিয়ে কাটাতে হয়। এমনকি এই জাতকদের পরিবার থেকেও দূরে থাকতে হয়।
৮. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও আপনার দাঁতের সংখ্যা যদি ২৫ হয়, তা হলে সাবধান হন। যে জাতকদের দাঁতের সংখ্যা ২৫ তাঁদের সারা জীবন ঝড়-ঝাপটার মধ্য দিয়েই কাটাতে হয়। এঁদের জীবনে খুব ধীরগতিতে সাফল্য আসে।
৯. সমুদ্র শাস্ত্র অনুযায়ী যে জাতকদের ওপরের ও নীচের মাড়ির দাঁতের মধ্যে সামান্য দূরত্ব থাকে তাঁরা খুব বেশি কথা বলেন।
১০. তবে দাঁতের মধ্যে চোখে পড়ার মতো দূরত্ব থাকলে এবং তাঁদের চোখ উজ্জ্বল হলে সেই জাতকরা নিজের সঙ্গীকে প্রতারিত করতে পারেন। এমন জাতকরা প্রবঞ্চনা করতে ওস্তাদ হন।
১১. মোটা ও চওড়া মাড়ি অহংকারের প্রতীক। এমন মাড়ি রয়েছে যে জাতকের তাঁরা দারিদ্র্যের মধ্যে জীবন কাটান।
১২. গোলাপী ও আনুপাতিক হারে মোটা মাড়ির জাতকরা অত্য়ন্ত দয়ালু, যত্নবান ও নম্র হন। পাশাপাশি এই জাতকরা দীর্ঘজীবী হয়ে থাকেন।
১৩. অন্য দিকে গাঢ় ও রক্ত লাল বর্ণের মাড়ি রয়েছে যে জাতকের তাঁরা হিংস্র হন ও খুব সহজে রেগে যান। এঁদের মধ্যে সহমর্মিতার অভাব থাকে। এমনকি এঁরা স্বার্থপর হন। অন্য দিকে গাঢ় রঙের মাড়ি দুর্ভাগ্যের প্রতীক হয়। পাশাপাশি এই জাতকদের জীবনজুড়ে বিরোধিতা ও দারিদ্রের প্রভাব থাকে।
Post a Comment