হার্টের ছন্দে অনিয়ম হলে করণীয়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: মিনিটে একজন সুস্থ মানুষের হৃদপিণ্ড রক্ত পাম্প করে গড়ে ৭২ বার। আর এভাবে অক্সিজেন, বিশুদ্ধ রক্ত পৌঁছে যায় দেহের কোষে কোষে। কখনো কখনো নানা কারণে হৃৎছন্দে হয় অনিয়ম, বাড়ে বা কমে। এতে অক্সিজেন দ্বারা বিশুদ্ধ রক্ত শরীরে ঠিকমতো পৌঁছায় না।


দেহের স্বাভাবিক কাজকর্ম হয় বিঘ্নিত। আর তখনই বাড়ে বিপদ। হৃৎছন্দের এমন অনিয়মের নাম হলো ‘কার্ডিয়াক এরিদমিয়া’।

অভিজ্ঞতা বলে এমন অনিয়মে অনেক সময় তা তেমন অনুভূত হয় না। তাই অনেকে একে খেয়াল করেন না, ফলে বিপদ যা হওয়ার ঘটে যায়। আচমকা ঘটে বিপর্যয়। করোনা মহামারিতে হৃৎযন্ত্রের অসুখ বেড়েছে, এতে মৃত্যুও হয়েছে অনেক। আর কার্ডিয়াক এরিদমিয়াতে মৃত্যু হয়েছে বেশি। আকস্মিক কার্ডিয়াক ডেথের বড় কারণ হলো এরিদমিয়া।


কারণ


হৃদরোগ, রক্তে ইলেকট্রলাইট ভারসাম্যহীনতা, রক্ত চলাচল কমা, সংক্রমণ, জ্বর, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, তীব্র আবেগ, মানসিক চাপ, মদ্যপান ও ধূমপানের কারণে অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন হতে পারে। চিকিৎসা না হলে একটি ছন্দচ্যুত হৃৎস্পন্দন থেকে হতে পারে আলঝেইমারস, ডিমেনশিয়া, হার্ট ফেইলিওর, স্ট্রোক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট।


লক্ষণ


♦ বুক ধড়ফড়। অল্প পরিশ্রমে ক্লান্তি।


♦ পায়ের পাতা, গোড়ালি আর পা ফুলে যায়


♦ দেহের নানা অংশে জল জমতে পারে


♦ সারা দিন ক্লান্তি, কাজে মন বসে না, ঘুম ঘুম ভাব


♦ কাজ করার ক্ষমতা কমে, শরীরচর্চার জন্য শক্তি থাকে না


♦ বুকে শোঁ শোঁ শব্দ হয়


♦ শরীরে জল জমে


♦ ক্ষুধা কমে। বমি বমি ভাব


করণীয়


অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন সব সময় প্রতিরোধ করা যায় না। তাই নিয়মিত চেকআপ দরকার। জীবনযাত্রা হতে হবে নিয়মমাফিক। খেতে হবে প্রচুর ফল, সবজি, মাছ, উদ্ভিজ্জ খাবার। স্যাচুরেটেড ফ্যাট আর ট্রান্সফ্যাট বর্জন করতে হবে। রক্তচাপ আর সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ছাড়তে হবে মদ্যপান। বজায় রাখতে হবে স্বাভাবিক ওজন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.