বিয়ের পর বেড়াতে যাওয়াকে কেন মধুচন্দ্রীমা বা হানিমুন বলা হয়?
ODD বাংলা ডেস্ক: সাধারনত বিয়ের পরে স্বামী-স্ত্রী মিলে বেড়াতে যাওয়া এখন একটা চিরাচরিত প্রথা হয়ে গেছে। যাকে বলা হয় মধুচন্দ্রিমা বা হানিমুন। তবে হানিমুন কোথা থেকে এসেছে জানেন কী?
বিয়ের পরে বেড়াতে যাওয়ার সঙ্গে কীভাবে ‘হানি’ এবং ‘মুন’ জুড়ে গেল, ইতিহাস ঘেঁটে তার মোটামুটি তিনটি ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ব্যাখ্যা তিনটি কী কী-
প্রথম ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘হানিমুন’ শব্দের উৎস ব্যাবিলনে। প্রাচীন ব্যাবিলনে বিয়ের পরে পাত্রীর বাবা পাত্রকে তার চাহিদা মতো মধু দিয়ে তৈরি মদ দিতেন। এই মদ থেকেই এসেছে ‘হানি’। ব্যাবিলনের ক্যালেন্ডার ছিল চান্দ্র। সেখান থেকে ‘মুন’ এসে থাকতে পারে বলে মনে করা হয়। গোড়ায় নাকি ব্যাবিলনে বিয়ের পরের মাসটিকে ‘হানি মান্থ’ বলা হতো। সেখান থেকে ক্রমশ ‘হানিমুন’।
দ্বিতীয় ব্যাখ্যায় বলা হয়, বিয়ের পরে একমাস প্রতিদিন একপাত্র করে মধু দিয়ে তৈরি মদ খেতে হতো নবদম্পতিকে। পাত্রীকে হরণ করে এভাবে বিয়ের পরে একমাস ধরে মধু দিয়ে তৈরি মদ খাওয়ার প্রথা সেই হুন রাজা অ্যাটিলার সময় থেকে চালু ছিল।
তৃতীয় ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘মুন’ শব্দটির সঙ্গে ঋতুচক্রের যোগ রয়েছে। বলা বাহুল্য, পুরো ব্যাখ্যাটির সঙ্গে যৌনতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এর সঙ্গে ‘হানি’ বা ‘মধু’ জুড়ে দেওয়া হয়েছিল এটা বোঝাতে যে, বিয়ের পর পর সবকিছু মধুর মতো লাগলেও সব সময় তা নাও লাগতে পারে। এজন্য বিয়ের পরপরই যে একান্ত সময়টি দম্পতিরা সবাইকে পাশ কাটিয়ে যাপন করে সেটাকে ‘হানিমুন’ বলা হয়।
১৯ শতকে ব্রিটেনে কাপলরা বিয়ের পর ব্রাইডাল ট্যুরে যেতেন। এই ট্যুরে নবদম্পতিরা সেসব আত্মীয় এবং বন্ধুদের বাড়ি যেতেন, যারা তাদের বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
Post a Comment