বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু, মনে হবে বাতাসে ঝুলে আছে
ODD বাংলা ডেস্ক: বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতুটি তৈরি হচ্ছে পাশের দেশ ভারতে। এর উচ্চতা বেশি হলেও নাম কিন্তু ‘চন্দ্রভাগা’। সেতুটি হিমাচল প্রদেশ বা জম্মু-কাশ্মীরে বেড়াতে গেলে চন্দ্রভাগা দেখে আসতে পারেন। চেনাব নদীর উপরে এই সেতুটি দেখতে অসাধারণ।
এমনিতেও চন্দ্রভাগা বা চেনাব নদী বা তার সংলগ্ন এলাকাগুলো ছবি মতো সুন্দর দেখায়। ভারতীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, হিমাচল প্রদেশের লাহৌল থেকে এই নদীর উৎপত্তি। লাহৌল-স্পিতি পর্যটকদের প্রিয় একটি স্থান। এই স্থান পেরিয়ে চন্দ্রভাগা চলে গেছে জম্মু-কাশ্মীরের দিকে।
সেখান থেকে এটি চলে গেছে পাকিস্তানের দিকে। নদীকে বাদ দিলেও তার সংলগ্ন এলাকাগুলির সৌন্দর্য্য অসাধারণ। একে হিমাচল প্রদেশের অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য তায় আবার জম্মু-কাশ্মীর। মানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য একেবারে উপচে পড়ছে এই নদীকে কেন্দ্র করে।
নদীটি পাহাড়ি। এই নদীর একদিকে যেমন পাহাড় পর্বত অন্যদিকে তেমনই সবুজ জঙ্গল। শীতের সময় নদীর ধারের বরফ তার সৌন্দর্য্যকে আরো কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। আর এই নদীর উপরেই বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু।
দূর থেকে চন্দ্রভাগা সেতুকে দেখলে মনে হতে পারে বাতাসে ঝুলে আছে। নদীপৃষ্ঠ থেকে এই সেতুর উচ্চতা ৩৫৯ মিটার। সেতুটি রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায়। নদীপৃষ্ঠ থেকে সেতুর উচ্চতা আইফেল টাওয়ারের থেকেও বেশি। মানে নদীর উপরে যদি একটি আইফেল টাওয়ার (উচ্চতা ৩২৪ মিটার) থাকতো তাহলেও সেতু ধরতে আরো ৩৫ মিটার উপরে উঠতে হত।
সেতুটি ঘিরে রেখেছে হিমালয় পর্বতের নানা শৃঙ্গ। সেতু দিয়ে হেঁটে গেলে মনে হবে মেঘের রাজ্যে হেঁটে যাচ্ছেন। যদিও এটি রেল ব্রিজ। পায়ে হেঁটে যাওয়ার কোনো অনুমতিই মিলবে না। রেলগাড়িতে চেপেই শুধু সেতু দিয়ে যাতায়াত করা যায়।
অত উঁচুতে সেতু নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ বটে, তবে যাবতীয় নিরাপত্তা নিয়েই সেটি নির্মিত হচ্ছে বলে দাবি ভারত সরকারের। সেতু নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে সেটি দেখতে বা তার উপর দিয়ে যাতায়াতের জন্য পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বলেও আশা সকলের।
বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু দর্শন কিংবা সেখান দিয়ে যাতায়াতের সুযোগের আকর্ষণে বিদেশি পর্যটকদের ভিড়ও বাড়বে বলে আশা। ভবিষ্যতে এই সেতুকে কেন্দ্র করে বিশেষ কোনো পর্যটন চিন্তা ভাবনা করা হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।
Post a Comment