বিরাট থেকে মালাইকা, সেলেব মহলে বাড়ছে 'ব্ল্যাক ওয়াটার' এর চাহিদা, জেনে নিন এই জলের বিশেষত্ব

 


ODD বাংলা ডেস্ক: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ৩-৪ লিটার জল পান করা উচিত। জল আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। এটি আপনাকে ত্বকে উজ্জ্বলতা এবং হজম-সহ আরও অনেক উপকার দেয়। আপনি নিশ্চয়ই 'আর ও ওয়াটার' সম্পর্কে শুনেছেন তবে বিরাট কোহলি, করণ জোহর, গৌরী খান থেকে শুরু করে মালাইকা অরোরা, ভারতের বহু সেলিব্রিটি 'আর ও ওয়াটার' এর পরিবর্তে 'ব্ল্যাক ওয়াটার' পছন্দ করেন। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে এই জল আপনার বাড়ির সাধারণ জলের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয়বহুল।


কালো জল কি-

এটি একটি বিশেষ ধরনের জল, যা শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এই জল শুধুমাত্র ওজন কমাতে সাহায্য করে, ওজন কমাতে নয়। এ ছাড়া একে ক্ষারীয় আয়নযুক্ত জলও বলা হয়। মেডিকেল জার্নাল 'এভিডেন্স বেসড কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড অল্টারনেটিভ মেডিসিন' (ইবিসিএএম) অনুসারে, ল্যাবে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষার পর দেখা গেছে যে ক্ষারযুক্ত জল শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যখন জিম বা শারীরিক ব্যায়াম করার সময় শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়, তখন কালো জল পান করলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়। এটি শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের সরবরাহ বাড়ায়। কিছু কোম্পানিও দাবি করে যে ক্ষারযুক্ত জল বার্ধক্যের প্রভাব কমায়। তবে এই দাবির কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।


'ব্ল্যাক ওয়াটার' এর চাহিদা বাড়ছে-


ব্ল্যাক ওয়াটার বা 'কালো জল' বিভিন্ন উপায়ে সাধারণ জল থেকে আলাদা। 'কালো জল' হল ক্ষারীয় জল। এটি খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় মিনারেলের ঘাটতি পূরণ হয়। শুধু এশিয়ার কথা বললে এখানে এর ব্যবসা প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা। আগামী দিনে এর ব্যবসা আরও ১৫ শতাংশ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


'ব্ল্যাক ওয়াটার' এর উপকারিতা-


মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, জিম বা ভারী ব্যায়ামের পর 'কালো জল' ব্যবহার করলে শরীরের অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি খাওয়ার মাধ্যমে আপনার বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত হয়। মেটাবলিজম রেট ভালো থাকার কারণে পাকস্থলী সংক্রান্ত সমস্যা দূরে থাকে। এটিতে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। 'ব্ল্যাক ওয়াটার'-এ 'মিনারেল ওয়াটার'-এর চেয়ে বেশি পুষ্টি থাকে। এটি ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ সহ অনেক রোগের বিরুদ্ধে প্রভাব দেখায়। ব্যাখ্যা কর যে 'কালো জল' শরীরের পেপসিন এনজাইমের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী হিসেবেও কাজ করে। এটি শরীরের pH ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.