স্বামী-স্ত্রী একই থালায় খাবার খান? অশুভ কিছু ঘটবে না তো? শুনুন কী বলছেন ভীষ্ম

 


ODD বাংলা ডেস্ক: অনেককে প্রায়ই বলতে শোনা যায় যে স্বামী-স্ত্রী একই থালায় খাবার খেলে তাঁদের মধ্যে ভালোবাসা বাড়ে। অনেকে আবার একই থালায় বসে খাবারও খান। কিন্তু সত্যিই কি এমন হয়? খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে বিভিন্ন নিয়ম জড়িত। যার মধ্যে অন্যতম হল এটি। এ প্রসঙ্গে মহাভারতে কিছু তথ্য প্রদান করা হয়েছে। জেনে নিন স্বামী-স্ত্রীর একই থালায় খাবার খাওয়া শুভ না-অশুভ।


মহাভারতের যুদ্ধে পিতামহ ভীষ্মকে পরাজিত করার পর পাণ্ডবরা শরশয্যায় শায়িত ভীষ্মের কাছে উপস্থিত হন। ভালো রাজনীতি কী ভাবে করা যায়,কী কী কাজ করলে রাজ্যের উন্নতি হবে এ সমস্ত বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে যান ভীষ্ম। এ ছাড়াও খাওয়া-দাওয়ার নিয়ম প্রসঙ্গেও কিছু কথা বলে যান ভীষ্ম। কী বলেন তিনি জেনে নিন এখানে।


এমন ভোজন কখনও ভুলে গ্রহণ করবেন না


ভীষ্ম পিতামহ কোনও ব্যক্তি খাবারের থালা লেঙে গেলে, সেই খাবার ভুলেও গ্রহণ করতে নেই। কারণ সেই খাবার কাদার সমান হয়ে যায়। কোনও পশুকে সেই খাবার খাইয়ে দেওয়া উচিত।


এমন ভোজন অমৃত সমান


পিতামহ জানান যে ভাইদের সবসময় একসঙ্গে বসে খাবার খাওয়া উচিত। এমন খাবার থালা অমৃত সমান হয়ে যায়। এ ভাবে খাবার খেলে পরিবারের উন্নতি হয় এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে। যে পরিবারে ভাইয়েরা এক সঙ্গে বসে খাবার খান, সেখানে লক্ষ্মীর প্রবেশ ঘটে।


এ ধরনের খাবার আর্থিক লোকসানের কারণ


ভীষ্ম পিতামহ জানাচ্ছেন যে, খাবারের থালায় পা লেগে গেলে, তাঁকে খাবার যোগ্য মনে করা হয় না। এমন খাবার ভুলেও খাবেন না। তা না-হলে দারিদ্রের আশঙ্কা বজায় থাকে। আবার খাবার খাওয়ার সময় তাতে চুল বেরিয়ে এলে, সেই খাবার খাওয়ার যোগ্য থাকে না। সেটি দূষিত হয়ে যায়। এমন খাবার খেলে ব্যক্তিকে আর্থিক লোকসানের মুখে পড়তে হয়।


স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে ভোজন করবেন না, কেন?


অবশেষে ভীষ্ম পিতামহ জানান যে, স্বামী-স্ত্রীর একই থালায় খাবার খাওয়াকে শুভ মনে করা হয় না। এই খাবার মদের সমান। এমন ভালোবাসা আপনার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। যার ফলে ব্যক্তি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, পারিবারিক বিবাদ দেখা দেয়। সামাজিক জীবনে আপনার আনাগোনা কমে যায়। মহভারতের অনুশাসন পর্বে এই উক্তি পাওয়া যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.