শীতের শুরু, রুম হিটার বা ব্লোয়ার ব্যবহার করার আগে অবশ্যই মাথায় রাখুন কিছু কথা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: শীতকালে, ব্লোয়ার বা হিটার দিয়ে ঘর গরম করা একটি সাধারণ বিষয়। একটু বেশি ঠান্ডা পড়লে বা সদ্যোজাতের ঘর এই শীতকালে গরম রাখতে অনেকেই রুম হিটার বা ব্লোয়ার ব্যবহার করে থাকেন। রুম হিটার থেকে শুরু করে এমন অনেক পণ্য বাজারে পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে কয়েক মিনিটে ঘর গরম করা যায়। শীতে শরীর গরম রাখতে মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকে এমন জায়গায় যেখানে হিটার বা ব্লোয়ার ব্যবহার করা হচ্ছে। রুম হিটার হয়তো শরীরকে রিল্যাক্স রাখে, কিন্তু এর অনেক অসুবিধাও আছে। এটা সত্যি যে কোন কিছুর অতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতির কারণ হতে পারে। বড়সড় খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে শরীরে।


এই প্রতিবেদনে, আমরা আপনাকে রুম হিটার সম্পর্কিত একটি ভুল সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, যা লোকেরা প্রায়শই করে এবং এর কারণে হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এটি সম্পর্কে জানুন…


রুম হিটার সংক্রান্ত এই ভুল হার্ট অ্যাটাক হতে পারে


দ্য সান-এ প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়েছে, হিটার বা ব্লোয়ার দিয়ে একটি রুম ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ রাখা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাইথ নোয়াকস বলেন, 'যদিও রুম হিটার মানুষকে আরামদায়ক পরিস্থিতি উপহার দেয়, তবে এটি অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে'। তিনি বলেন, জানালা বন্ধ করে ঘর গরম করা শরীরের জন্য বড় সড় সমস্যা তৈরি করতে পারে।


প্রফেসর কাইথের মতে, ঘরে হিটার চালানোর সময় জানালা খোলা রাখতে হবে, যাতে বাতাস চলাচলে সচল থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকলে শুধু হার্ট অ্যাটাক নয়, চিকেন পক্স এবং টিবির মতো রোগও এড়ানো যায়।


বায়ু চলাচলের জন্য এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন


প্রফেসর কাইথ বলেছেন যে ঘরের মধ্যে বায়ু চলাচলের গুরুত্ব সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা উচিত।


প্রফেসর ক্যাথ আরও বলেন, সবসময় স্নান করার পর ঘরের জানালা খুলে রাখুন। অথবা আপনি যদি রান্নাঘরে কাজ করেন, তবে এই সময়েও বায়ু চলাচলের জন্য একটি চিমনি বা কিছু রাখুন।


হিটার বাতাসে উপস্থিত অক্সিজেন দ্রুত ব্যবহার করতে শুরু করে এবং এর কারণে ঘরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। এর ঘাটতির কারণে মানুষের শ্বাসরোধ, বমি বমি ভাব এবং মাথাব্যথার সমস্যা শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে হিটার চালানোর সময় বায়ুচলাচলের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। নয়তো দ্রুত শরীরের অবনতি ঘটতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.