দাম্পত্য অ্যাডভেঞ্চারকে না বলে একা থাকতে চাইছেন কেন মেয়েরা?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: দাম্পত্য প্রেমের মধ্যেই লুকিয়ে আছে সুখ, দুঃখ আর অ্যাডভেঞ্চার। একথা মানতে পারেন না অনেক মেয়েই। তারা নিজের মতো করে নিজেকে ভালোবাসতে চান। অনেকে নিজেকে নিয়েই জীবন কাটিয়ে দিতে চান। তারা নিজেদের ইচ্ছাপূরণে বিশ্বাসী। আর তাই তাদের কাছে সিঙ্গেল জীবন হলো আর্শীবাদ।


প্রেম করলেই জীবন থেকে হারিয়ে যেতে পারে স্বাধীনতা। 'আমি সারাজীবন সঙ্গেলই থেকে যাব, আর কোনোদিন প্রেম হবে না' এরকম ভাবনা নিয়ে কখনই ভয় পান না তারা। বরং তাদের মনে হয় প্রেমের নাটক সামলানো অনেক বেশি জটিল। যারা একবার প্রেমে ধোঁকা খেয়েছেন তাদের ছেলেদের প্রতি আর কোনো বিশ্বাসই থাকে না। আর যে কারণেই তাদের মনে হয় 'সিঙ্গেল লাইফ' বেস্ট।


মেয়েদের সিঙ্গেল থাকার পক্ষে যেসব কারণ রয়েছে


>>তারা মনে করে প্রেম করলে কিছুদিন পরই সেটা জীবনের রুটিন হয়ে দাঁড়ায়। নিয়মিত দেখা করা, ফোনে যোগাযোগ রাখা আর অনেকেই তা পছন্দ করেন না। তাদের মনে হয় কোথাও গিয়ে যেন বাধা পড়ে যেতে হয়। নিজের স্বাধীনতা থাকে না। কোথাও গেলেও তাকে জানিয়ে যাওয়া এসব তাদের পছন্দ নয়। বরং তারা জীবনে রোমাঞ্চ খুঁজতেই বেশি ভালোবাসেন। আর তাই সংসার, সন্তান আর সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের স্বাধীনতায় বাঁচেন।


>>সম্পর্ক থাকলেই সেখানে মান অভিমান থাকবেই। এছাড়াও মাঝেমধ্যে ঝগড়া তো আছে। আর অনেকেই ফালতু ঝামেলা, ঝগড়া করে নিজের শান্তি বিসর্জন দিতে রাজি হন না। বিশেষত যাদের পূর্ব প্রেমের অভিজ্ঞতা তিক্ত। সেখান থেকেই তারা মনে করেন আর প্রেম নয়। অযথা ঝগড়া, ঝামেলায় গেলে নিজের ক্ষতি হয়। সেই সঙ্গে নিজের কাজও নষ্ট হয়।

>>এই জেনারেশনের ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই এখন প্রতিশ্রুতি রাখতে ভয় পান। একেবারে কাউকে পুরোপুরি কথা দিয়ে ফেলবেন এরকমটা তারা করতে চান না। কমিটমেন্ট মানেই সেখানে আসে বিয়ের প্রসঙ্গ। আর বিয়ে, সংসার কিংবা একজন মানুষের সঙ্গেই সারাজীবন কাটাতে হবে এরকমটা ভাবতেও ঠিক ভরসা পান না তারা।


>>জীবনটাকে উপভোগ করতে চান। একা থাকায় কখনো এদের ক্লান্তি আসে না। বরং জীবনটাকে উপভোগ করতে চান। নিজের কাজ, রান্না, ঘুরতে যাওয়া, সিনেমা দেখা সব কিছুর মধ্যেই এরা অনন্দ খুঁজে নেন। সেই সঙ্গে পছন্দের বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা, উইকএন্ড পার্টি এসব তো আছেই। 


>> এরা নিজেদের খুব ভালোবাসেন। জীবনটাকে নিজের মতো করে উপভোগ করেন। সেই সঙ্গে নিজের কেরিয়ার গড়ারও একটা স্বপ্ন থাকে।


সবশেষে বলা যায়, আমাদের সবার মনের ভেতর লুকিয়ে থাকে আরো একটা 'আমি'। আর এই 'আমি'টাকে কিন্তু আমরা সবাই ভালোবাসি। অনেক সময় এরম পরিস্থিতি আসে যে নিজের জন্য কিছু চাইলেও ঠিক করে ওঠা যায় না। কিন্তু সেই ইচ্ছাটা মনেই থেকে যায়। তবে এরা কিন্তু সবার আগে গুরুত্ব দেন নিজের ইচ্ছেকে। মনোবিদরা বলেন, নিজের ইচ্ছাপূরণ হলে তবেই অন্যদের কথা ভাবেন। মোটকথায় এরা নিজেদের খুব প্যাম্পার করেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.