১০ কোটি বছর আগের সমুদ্রের সরীসৃপ প্রাণীর সন্ধান

ODD বাংলা ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে জীবাশ্ম খোঁজার সময় ১০ কোটি বছর আগের সামুদ্রিক সরীসৃপ প্রাণীর অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছেন জীবাশ্ম সন্ধানকারী নারীরা।

সামুদ্রিক এ প্রাণীর অস্তিত্ব পাওয়ার পর জীবাশ্মবিদরা বলছেন, এ প্রাণীর অস্তিত্বের সঙ্গে রোসেটা যুগের প্রাগৌতিহাসিক সামুদ্রিক দৈত্যকার আকৃতির বিভিন্ন নতুন প্রজাতির আবিষ্কার করার সূত্র পাওয়া যাবে।

রক চিকসদের মধ্যে এলাসমোসাউর নামে দীর্ঘ ঘাড়ের একটি সামুদ্রিক সরীসৃপ প্রাণী আবিষ্কার করা হয়। গত আগস্টে পশ্চিম কুইন্সল্যান্ডের গবাদিপশুর আস্তানায় খোঁজার সময় এটি পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়াতে প্রথমবার এলাসমোসাউর নামের সামুদ্রিক সরীসৃপ প্রাণীর মাথার খুলি পাওয়া গেলো। এ প্রাণীর মাথার খুলি পাওয়ার তথ্য সরবরাহ তিনটি স্ক্রিপ্টের মাধ্যমে জাদুঘরে থাকা অন্যান্য জীবাশ্ম থেকে রহস্য উদ্ধার করতে জীবাশ্মবিদদের অনুমতি পেতে পারেন।

চলতি সপ্তাহে অন্যান্য জীবাশ্মের মধ্যে একটি সামুদ্রিক সরীসৃপ প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গেছে। এর আগে কেসিন্দ্রা প্রিন্স দেখেছিল যে, একটি মাথা তার দিকে তাকিয়ে ছিল।

প্রিন্স বলছিলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমি আবার মাটির দিকে তাকালাম। তখন দেখলাম, মাথার খুলি আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

কুইন্সল্যান্ড জাদুঘরের জীবাশ্মবিদ্যার জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক ড. ইসপেন নাটসেন বলেন, এ ধরনের জীবাশ্ম পৃথিবীতে বিরল। 

প্রিন্স মাথার খুলি আবিষ্কারের পর নাটসেনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন। তিনি খুলির ছবি তার বোন সিনথিয়া ও চাচাতো বোন শালির কাছে পাঠান। যদিও জীবাশ্মবিদরা বলছে, এটি বিশেষ জীবাশ্ম।

এরই মধ্যে সামুদ্রিক সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণীটির খুলিটি সংরক্ষণ করেছে কুইন্সল্যান্ড জাদুঘর। একইসঙ্গে অনেকগুলো দেহ রয়েছে। কিন্তু তবে একটি মাথার খুলি প্রাণীর শরীরের সঙ্গে থাকায় সন্দেহ করা হচ্ছে।

এটি মূলত ইলাসমোসরের স্বতন্ত্র শরীরবিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। সামুদ্রিক সরীসৃপগুলো সম্ভব দৈর্ঘ্যে আট মিটার বড় হয় এবং তার একটি ছোট মাথা থাকে। এছাড়া তার লম্ব ঘাড় থাকে।

নাটসেন বলেন, এটা অনেকটাই ঘাড়। অন্তত অর্ধেক, পুরো শরীরের দৈর্ঘ্যের দুই-তৃতীয়াংশ না হলে বেশিরভাগই ঘাড়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.