৩১৭ কেজি ওজনের তরুণী যেভাবে ২০০ কেজিতে নামলো
ODD বাংলা ডেস্ক: আমেরিকার মিসিসিপির বাসিন্দা ক্রিস্টিনা ফিলিপসের যখন ২২ বছর বয়স, তখন তার ওজন ৭০০ পাউন্ড বা ৩১৭ কিলোগ্রামের বেশি। বিপুল ওজনে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হাঁটাচলা। দেখা দেয় প্রাণসংশয়ও। কিন্তু দমে যাননি তিনি। লড়াই শুরু করেন স্থূলতার বিরুদ্ধে। আর সেই যুদ্ধ শেষে এখন তিনি দাঁড়িয়ে আছেন ৮৩ কিলোগ্রামে। কেমন করে কমালেন এতো ওজন তা নিজেই জানালেন।
তরুণীর দাবি, খুব ছোট থেকেই অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খেতেন তিনি। মা-বাবাও কোনো দিন ‘ফাস্ট ফুড’, ভাজাভুজি খেতে নিষেধ করেননি। তার স্বামীও কোনো দিন ওজন কমনোর পরামর্শ দেননি। ক্রমে বেশি খাওয়ার অভ্যাসই ডেকে আনে বিপদ, জানান ক্রিস্টিনা। ওজন বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় দাঁড়ায় যে, হাঁটাচলা করায় অসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। অতিরিক্ত ওজনের কারণে তিনি দুই বছরের বেশি সময় বাড়ির বাইরে বের হতে পারেননি।
সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, হাঁটতে পারতাম না। মনে হতো, আমি মারা যাচ্ছি। এর পরেই ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেন ক্রিস্টিনা।
ক্রিস্টিনা ওজন কমানোর জন্য এতোটাই মরিয়া হয়ে ওঠেন যে, অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ইউনান নওজারাদান নামের এক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারি করা হয় তার। অস্ত্রোপচারের সঙ্গে নিয়ম করে খাওয়া-দাওয়া করা শুরু করেন তিনি। সঙ্গে চলতে থাকে ব্যায়াম।
স্বামী কোনো ভাবে ওজন কমানোয় সহায়তা করতেন না। তাই বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তরুণী। কেবল নিজের মনের জোরে কমাতে শুরু করেন ওজন। টানা ১০ বছর পরিশ্রম করে ২৩৪ কিলোগ্রাম ওজন কমিয়ে ফেলেছেন ক্রিস্টিনা। এখন তার ওজন প্রায় ৮৩ কেজি। তবে ওজন কমলেও ত্বকের সমস্যা রয়ে গিয়েছে শরীরে। তাই এবার সেই সমস্যার কারণে আর একবার অস্ত্রোপচার করাতে চান তিনি।
Post a Comment