মৃত্যুর আগে ৬ সংকেত পান প্রত্যেক মানুষ! জানাচ্ছে গরুঢ় পুরাণ
ODD বাংলা ডেস্ক: হিন্দুধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হল গরুঢ় পুরাণ। সনাতন ধর্ম অনুসারে গরুঢ় পুরাণ আমাদের মৃত্যুর পরের অবস্থা সম্পর্কে নানা তথ্য দিয়ে থাকে। সেই কারণে পরিবারে কারোর মৃত্যু হলে গরুঢ় পুরাণ পাঠ করার রীতি প্রচলিত আছে। হিন্দু ধর্মের ১৮টি পুরাণের মধ্যে গরুঢ় পুরাণ বিশেষ উল্লেখযোগ্য়, কারণ এর অধিষ্ঠাতা দেবতা হলেন স্বয়ং বিষ্ণু। মানব জীবনের জন্ম ও মৃত্যুর এই চক্রাকার ঘূর্ণনকেই গরুঢ় পুরাণে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে। স্বর্গ, নরক, পাপ, পূণ্য সম্পর্কে বিশদে আলোচনা করা আছে এখানে।
গরুঢ় পুরাণ অনুসারে মানুষ জীবদ্দশায় ভালো কাজ করলে মৃত্যুর পর পূণ্যের জোরে সুখভোগ করে আবার জীবদ্দশায় খারাপ কাজ করলে মৃত্যুর পর নানা কষ্ট সহ্য করে সেই পাপের ফল ভোগ করে। গরুঢ় পুরাণ আমাদের জানাচ্ছে যে প্রতিটি মানুষ মৃত্যুর আগে কয়েকটি সংকেত পান। মৃত্যুর আগে একজন মানুষ কী কী সংকেত পান, তা নিয়েই আলোচনা করা হল এখানে।
* মৃত্যর আগে মানুষ নিজের নাক দেখতে পান না।
* মৃত্যু কাছে এগিয়ে এলে মানুষ জলে বা তেলে নিজের ছায়া পড়তে দেখেন না। সেই কারণে বলা হয়ে থাকে যে মৃত্যুর সময় আমাদের নিজেদের ছায়াও আমাদের সঙ্গে থাকে না।
* প্রতিটি মানুষের হাতে বিভিন্ন রেখা থাকে। হস্তরেখাশাস্ত্র অনুসারে হাতের এই রেখাগুলো দেখে আমাদের ভাগ্যে কী আছে তা বলা যেতে পারে। গরুঢ় পুরাণ বলছে যে মৃত্যুর আগে হাতের পাতার এই রেখাগুলো হালকা হয়ে যায়। এমনকি অনেকের হাত থেকে রেখাগুলো পুরোপুরি মুছে যায়।
* মৃত্যুর কয়েকদিন আগে থেকে মানুষ স্বপ্ন নানারকম অদ্ভুত জিনিস দেখা শুরু করেন। যেমন প্রদীপ নিভে যাওয়া।
* মৃত্যুর আগে মানুষ অনেক সময় নিজের প্রয়াত পূর্বপুরুষদের দেখতে পান। নিজের আশপাশে একজন মৃত্যুপথযাত্রী এমন কাউকে অনুভব করতে পারেন, যাঁদের আর কেউ দেখতে পান না। প্রয়াত আত্মাদের সেই সময় দেখতে পান তিনি। ওই প্রয়াত পূর্বপুরুষরা নিজেদের উত্তরপুরুষকে মৃত্যু পরবর্তী দুনিয়ায় স্বাগত জানাতে আসেন।
* গরুঢ় পুরাণ জানাচ্ছে মৃত্যু এগিয়ে এলে মানুষের শ্বাস উল্টো ভবে চলে। অনেক সময় তখন নিজের কাছের লোকদের চিনতে পারেন না তিনি। তখন যমদূতরা এমন ভাবে তাঁকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে যে তখন তাঁর আশপাশে থাকা অন্য কাউকে আর দেখতে পান না মৃত্যুপথযাত্রী ওই ব্য়ক্তি।
Post a Comment