যীশুখ্রীষ্টের প্রচলিত রূপ কি আদতে এমন? আসলে কেমন দেখতে নয় যীশুকে, কী বলছে ইতিহাস
কিন্তু বাস্তবে বিশেষজ্ঞরা যীশু খ্রীষ্টের চেহারার যে বর্ণনা দিয়েছেন, বা তার চেহারার যে ছবি তুলে ধরেছেন তা কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ইতিহাস বলছে যীশুর উচ্চতা খুব একটা বেশি ছিল না, তাঁকে বেঁটেই বলা চলে। পাশাপাশি সেই সময়ের ইহুদীদের যেমন ছোট চুল ছিল, যীশুর চুলও ছোট করে কাটা। এমনকী বাইবেলে যীশুর সম্পর্কে বর্ণনা করা হলেও তাঁর চেহারার খুব একটা বর্ণনা ছিল না।
ব্রাজিলের এক গ্রাফিক ডিজাইনার এবং ফরেনসিক ফেসিয়াল রিকনস্ট্রাকশন বিশেষজ্ঞরা একবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অনুরোধে, যীশু খ্রীষ্টের একটি বিজ্ঞানসম্মত ছবি তৈরি করেছিলেন , যেখানে তিনি মন্তব্য করেন, তাঁর মন্তব্যে তিনি বলেন, যীশু শ্যামবর্ণের ছিলেন। কারণ ওই অঞ্চলের মানুষের গায়ের রঙ শ্যামবর্ণ ছিল। মরুভূমির মানুষদের প্রখর সূর্যের নীচে থাকতে থাকতে গায়ের রঙ শ্যামবর্ণ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। আর সবচেয়ে মজার বিষয়ে সেইসময়ে পুরুষদের লম্বা চুল রাখার কোনও রেওয়াজই ছিল না, তাই যীশুরও বড় চুল থাকার কথাই নয়। কিন্তু ছবিতে তা ফুটে ওঠে না।
লম্বা চুলে যীশুর ছবিটি সম্ভবত বাইজেনটাইন সাম্রাজ্যের সময়কালীন তৈরি করা হয়েছে। আর এই ছবিটি সম্পূর্ণ প্রতীকি বলেই মনে করেছে বিশেষজ্ঞরা। বলা হয়, সিংহাসনে বসা কোনও সম্রাটের চেহারা পরিকল্পনা করেই যীশুর চেহারা গড়ে তোলা হয়েছে বলেই অনেকের ধারণা। বং তাদের উপহার দেয়।
Post a Comment