যেসব কারণে বাদাম খাবেন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে বাদাম বেশ সুপরিচিত। সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেকেই খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখে।


কাঠবাদাম


* বাদামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা আপনার কোষগুলো অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে।


* কাঠবাদামে থাকে মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় দুটি পুষ্টিগুণ—রিবোফ্লাভিন ও এল ক্যারনিটিন।


এই উপাদান দুটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

* নিয়মিত কাঠবাদাম প্রতিদিন এক বা দুই মুঠ কাঠবাদাম গ্রহণ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রক্তের খারাপ চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।


* নিয়ম করে ভেজানো বাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে। কারণ কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি উপকারী উপাদান থাকে। প্রতিদিন এক মুঠ কাঠবাদাম খাওয়া শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।


মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণে সমস্যা : হজমে সমস্যা হতে পারে, ভিটামিন-ই-এর ওভার ডোজ হতে পারে, কিডনিতে পাথর ও এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।


কাজুবাদাম


* কাজুবাদাম কপার সমৃদ্ধ, যা শরীর থেকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেহে কপারের ঘাটতিতে আয়রনের ঘাটতি হতে পারে, যার ফলে অ্যানিমিয়া দেখা দিতে পারে।


* রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।


* কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধেও খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।


* কাজুবাদাম কপার ও বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের খুব চমৎকার উৎস হওয়ার জন্য এটি ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।


* অন্ত্রের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।


* ম্যাগনেসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ থাকায় এটি হাড়ের জন্য অনেক উপকারী। এ ছাড়া মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় কপারের অভাব পূরণ করে এটি।


মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণে সমস্যা : অনেকের ক্ষেত্রে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাজুবাদাম অক্সালিক সল্টের একটি উৎস হওয়ার কারণে অনেকের ক্ষেত্রেই এটি অতিরিক্ত গ্রহণে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।


চিনাবাদাম


* যাঁরা নিয়মিত চিনাবাদাম গ্রহণ করেন তাঁদের পিত্তথলির বিভিন্ন রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।


* আলঝেইমার রোগীদের লক্ষণ কমানোর ক্ষেত্রে এটি খুব ভালো কার্যকর।


* সকালের নাশতায় চিনাবাদাম বা চিনাবাদামের মাখন খেলে প্রায় পুরো দিনই রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।


* নিয়মিত চিনাবাদাম খেলে হৃদরোগের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কমে।


* মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজন হয় সঠিক খাদ্যের। চিনাবাদামকে বলা হয় মস্তিষ্কের খাবার।


* চিনাবাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই। এটি ফ্যাটে দ্রবীভূত একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসসংক্রান্ত ক্ষতির থেকে রক্ষা করে। তাই ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।


মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণের সমস্যা : কিছু খনিজ উপাদান শোষণে বাধা দেয়। ক্যালরির পরিমাণ বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত গ্রহণে ওজন বেড়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত গ্রহণে উচ্চরক্তচাপ দেখা দিতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.