পেঁপে মানেই পুষ্টি, কিন্তু পেঁপেতে রয়েছে বেশ কিছু ক্ষতিকারক প্রভাব

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ডাক্তারি শাস্ত্রে পেঁপের গুনাগুন অনেক। দেহের অঙ্গ প্রতঙ্গে কিছু হলেই পেঁপেকে স্মরণ করা হয়। এহেন পেঁপের গুনাগুন জানেন না কেউ, এমন লোক খুব কমই আছেন। ডাক্তাররা বলে থাকেন, পেঁপে লো ক্যালোরি সবজি, এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল নানান উপাদান যাতে হজমের পক্ষে দারুণ সুবিধা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পেঁপের ঝোল খুবই উপকার করে।


এছাড়া, স্যালাড বানিয়ে খান অথবা এক গ্লাস পেঁপের জ্যুস- গরমের দিনে উপকার পাবেনই। পেঁপের মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন চোখের পক্ষেও খুবই লাভদায়ক। পাশাপাশি,ফাইবার যুক্ত পেঁপেকে খাসির মাংস সেদ্ধ করতে তো সকলেই ব্যবহার করেন। তবে, আজকের প্রতিবেদনে পেঁপের গুনাগুন নিয়ে আলোচনা হবে না। আজকের আলোচনা মুখ্য বিষয় হল, পেঁপের বেশকিছু ক্ষতিকারক দিক। সবাই পেঁপে বলতে পেঁপের গুনের কথাই জানে। কিন্তু পেঁপের কিছু সাইড এফেক্টও রয়েছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক, কি কি ক্ষতিকারক দিক রয়েছে।



১. অ্যালার্জির সমস্যাঃ প্যাপাইন বা বিভিন্ন রেণু থেকে অ্যালার্জিও হতে পারে অনেকের। ত্বকের ফুলে ওঠা, মাথা ঘোরা, চুলকানি, র‍্যাশ বেরোনর মতো সমস্যা হতে পারে এই অ্যালার্জির ফলে।


২. শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাঃ প্যাপাইনের ফলে যে অ্যালার্জি দেখা যায় তা নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাও ঘটাতে পারে। অতিরিক্ত পেঁপে খেলে হাঁপানি, বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব হতেই পারে অনেকের।


৩. গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারেঃ পেঁপের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ল্যাটেক্স থাকে যা জরায়ুর সংকোচন ঘটাতে পারে। এতে গর্ভস্থ ভ্রূণের ক্ষতি হতে পারে বলেই চিকিৎসকেরা গর্ভাবস্থায় পেঁপের বীজ, শিকড় বা পাতা খেতে বারণই করেন। পেঁপের মধ্যেকার প্যাপাইন গর্ভের ঝিল্লিপর্দাগুলির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে যার ফলে ভ্রূণের বৃদ্ধিতে সমস্যা হতে পারে।


৪. বেশি পরিমাণ পেঁপে পেটের পক্ষে মোটেই ভালো নাঃ বেশি ফাইবার থাকায় কন্সটিপেশনের রোগীদের ক্ষেত্রে পেঁপে বড্ড উপকারী হলেও অত্যধিক পরিমাণে খেলে পেটের সমস্যাও দেখা যেতে পারে। পেঁপের খোসায় থাকা ল্যাটেক্স পেটে ব্যথা, অস্বস্তির কারণও হতে পারে। অত্যধিক পেঁপে ডায়েরিয়ার জন্যও দায়ী।


৫. বিভিন্ন ওষুধ চলাকালীন পেঁপে খাওয়া নিয়ে সতর্ক হোনঃ ইউনাইটেড স্টেটস লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী, রক্তকে তরল করার বিভিন্ন ওষুধের সাথে পেঁপের কিছু বিক্রিয়া ঘটে। যা হঠাৎ রক্তক্ষরণের কারণও হইয়ে উঠতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.