ঠোঁট দেখে চিনে নিন নিজের মনের মানুষকে, কী ভাবে? জানাচ্ছে জ্যোতিষ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ঠোঁটের সৌন্দর্য ব্যক্তির সামগ্রিক সৌন্দর্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তবে সুন্দর ঠোঁট শুধুমাত্র ব্যক্তির সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বরং তাঁদের সম্পর্কে অনেক কিছু বলেও থাকে। সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী ব্যক্তির শরীরের প্রতিটি অঙ্গ তাঁদের স্বভাব, ভাগ্য ও কর্ম সম্পর্কে অনেক কিছু জানিয়ে থাকে। তেমনই ঠোঁটের মাধ্যমেও অনেক কিছু জানা যায়। ঠোঁটের আকার, রঙ ইত্যাদি কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে কী বলে জেনে নেওয়া যাক। উল্লেখ্য, ঋষি সমুদ্র এই শাস্ত্র রচনা করেছিলেন, তাই এটি সমুদ্র শাস্ত্র নামে পরিচিত।


​ঠোঁটের রঙ দেখে স্বভাব জানুন


সমুদ্র শাস্ত্র অনুযায়ী যে জাতকদের ঠোঁট গোলাপের পাঁপড়ির মতো গোলাপী তাঁরা অত্যন্ত ভাগ্যবান হন। নিজের কাজের জন্য সম্মানিত হন এমন জাতক। আবার যে জাতকদের ঠোঁট লাল, তাঁরা ছোটখাটো কথায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এঁদের লেখনশৈলী খুবই ভালো। তবে কখনও কখনও এঁরা নিয়মনীতি থেকে বেরিয়ে গিয়ে কাজ করেন। অন্য দিকে যে জাতকের ঠোঁট কালো, তাঁরা খিটখিটে মেজাজের হন। অকারণেই রেগে যান এঁরা। নিজের এমন স্বভাবের কারণেই অপরের সঙ্গে মিশতে পারেন না এই জাতকরা। অন্যেরাও এঁদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখে। রঙের পাশাপাশি ঠোঁটের আকার দেখেও ব্যক্তিত্ব জানা যায়।


​পাতলা ঠোঁট 

যে জাতকদের ঠোঁট পাতলা তাঁরা অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্খী হন। সমুদ্র শাস্ত্র অনুযায়ী এমন জাতক নিজের কেরিয়ারের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন ও চিন্তিত থাকেন। সাফল্য লাভের জন্য যে কোনও সীমা অতিক্রম করতে পারেন। শুধু তাই নয়, অন্যকে সফল করে তোলার জন্যও এঁরা সাহায্য করতে পিছ পা হন না। অন্যের সঙ্গেও ভালো ব্যবহার করেন এঁরা। পাতলা ঠোঁটের মহিলা বা পুরুষ অত্যন্ত সৎ এবং বুদ্ধিমান হন। নিজের পরিশ্রমের জোরে জীবনে সমস্ত কিছু লাভ করতে পারেন এঁরা।


​ছোট ও উঠে থাকা ঠোঁট


সমুদ্র শাস্ত্র অনুযায়ী এমন জাতক অত্যন্ত সংবেদনশীল হন। সবসময় সঠিক সময় দেখে নিজের কথা বলেন এই জাতকরা। তবে প্রচুর পরিশ্রম করা সত্ত্বেও উন্নতি করতে পারেন না এঁরা। আবার যে জাতকদের ঠোঁট উঠে থাকে, তাঁদের জীবনে একাধিক ওঠা-পড়া দেখা দেয়। অন্যের সাহায্য নিতে প্রস্তুত থাকেন এঁরা। অন্য দিকে যে কোনও বদঅভ্যাসের সঙ্গে জড়িয়ে পড়তেও বিলম্ব করেন না এই জাতকরা।


​মোটা ও বড় ঠোঁট 

বড় ঠোঁটের জাতকরা সাধারণত অন্যের কাছে থেকে সম্মান লাভের জন্য লালায়িত থাকেন। এক সঙ্গে অনেকগুলি কাজ করতে ভালোবাসেন এঁরা। এমন ঠোঁটের জাতকরা অনেক বুদ্ধিমান হন। কিন্তু জ্যোতিষ শাস্ত্র বলছে যে জাতকদের ঠোঁট মোটা ও বড় তাঁরা আর্থিক সমস্যায় দিন কাটান। সহজে বিবাদে নাম জড়িয়ে যায় এমন জাতকদের। প্রচণ্ড জেদি হন এঁরা।


​মখমলি ঠোঁট


সমুদ্র শাস্ত্র বলছে, মখমলি ও মসৃণ ঠোঁটের জাতকরা নিজের জীবনে সমস্ত ধরনের আনন্দ উপভোগ করেন। এমন জাতক অত্যন্ত ভাগ্যবান হন। আবার যে জাতকদের ঠোঁট ওপরের দিকে সামান্য ঘোরানো, এঁরা লোক দেখানো বেশি ভালোবাসেন। বাস্তবে তাঁদের কাছে যত থাকে, তার চেয়েও বেশি দেখাতে ভালোবাসেন এঁরা। নিজের এই স্বভাবের কারণেই তাঁরা প্রায়ই সমস্যায় জড়িয়ে পড়েন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.