নি:সঙ্গদের স্বর্গ রাজ্য যৌনতার শহর

ODD বাংলা ডেস্ক: বৈধ বা অবৈধ যাই হোক না কেন বর্তমানে অনেক দেশই ‘সেক্স ট্যুরিজম’ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেক্স ট্যুরিজম বা যৌন পর্যটন নাম দেখেই বিষয়টা আপনারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন। তবুও বলছি সেক্স ট্যুরিস্ট বা যৌন পর্যটক বলতে সেসকল ভ্রমণকারীকে বোঝায় যারা যৌন চাহিদা মেটাতে অন্যকোন দেশে ভ্রমণ করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উন্নত দেশগুলোর নাগরিকেরা উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশগুলোতে সেক্স ট্যুরিজম করে থাকেন। দিন দিন বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সেক্স ট্যুরিজম। আজ আপনাদের জানাবো সেক্স ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ও জনপ্রিয় ৭টি দেশের কথা। তো আসুন জেনে নেওয়া যাক-

১) ডোমিনিকান রিপাবলিক

সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, দুর্দান্ত আবহাওয়া এবং কম ব্যয়বহুল হওয়ায় পর্যটকদের কাছে ‘সেক্স ট্যুরিজমের’ জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। দেশটিতে যেহেতু পতিতাবৃত্তি আইনসম্মত, তাই এটি যৌনপল্লীর জন্য সর্বাধিক খোলামেলা ও নিরাপদ দেশ। সেক্স ট্যুরিজমে ডমিনিকান রিপাবলিকের সর্বাধিক জনপ্রিয় শহরগুলির মধ্যে রয়েছে সোসুয়া ও বোকা চিকা। এছাড়া পান্তা কানা এবং পুয়ের্তো প্লাটারসহ আরও বেশকিছু শহরে যৌন পর্যটনের সুবিধা রয়েছে। এসব শহরে দৃষ্টি নন্দন রিসোর্ট, নির্জন সমুদ্র সৈকত রয়েছে যা পর্যটকদের যৌন ক্ষুধা আরও বাড়িয়ে তোলে।

২) থাইল্যান্ড

সেক্স ট্যুরিজমে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি দেশ থাইল্যান্ড। পর্যটকদের মনোরঞ্জনে বিশ্বের অনন্য দেশ থেকে যৌন কর্মীরা এসে এখানে ভিড় করে। দেশটির একাধিক স্থানে গড়ে উঠেছে যৌনতাকেন্দ্রীক পর্যটন শহর। দিনের বেলায় সেসব জায়গা যতটা নিরব, রাত নামতেই ঠিক ততটাই সরব। লাল-নীল আলোয় রাতভর যেন ভিন্ন এক পরিবেশ। অসংখ্য ম্যাসেজ পার্লার, স্পা ও নাইটক্লাবের ছদ্মবেশে শহরজুড়ে চলে অবাধ যৌনতার খেলা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সেক্স ট্যুরিজমকেই বেঁছে নেয় থাইল্যান্ড।

৩) কম্বোডিয়া

সেক্স ট্যুরিজমের বিখ্যাত আরেকটি দেশ কম্বোডিয়া। বিশ্বের অন্যতম বড় যৌন ব্যবসা চালায় দেশটি। তবে তার বেশিরভাগই অবৈধ। আইনের ফাঁক গলে অবাধ যৌনতার হাতছানিতে সাড়া দিতে প্রতি বছর দেশটিতে ছুটে আসেন বিশ্বের কামতাড়িত লাখো পর্যটক। রাজধানী নমপেন ও সান রিপ শহরের রাস্তায় ঘুরতে গিয়ে দেখবেন চারপাশে ভ্রাম্যমান পতিতারা ঘোরাফেরা করছে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন বার ও ক্লাবগুলির আশেপাশেও দেখবেন যৌন কর্মীদের ঘোরাঘুরি। আপনি চাইলেই এদের দিয়ে যৌন চাহিদা মেটাতে পারেন।

৪) নেদারল্যান্ড

কথিত আছে, নেদারল্যান্ডের রাজধানী আমস্টারডামে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী যৌনকর্মীদের দেখা মেলে। এই শহরের যৌনকর্মীরা রূপ-মাধুর্যে অতুলনীয়। এখানে যৌন ব্যবসা সম্পূর্ণ বৈধ ও সরকার নিয়ন্ত্রিত বলে অত্যান্ত নিরাপদ। এই শহরের যৌন ব্যবসার খ্যাতি সারা বিশ্বজুড়ে। প্রতি বছর কয়েক লাখ যৌন পর্যটক দেশটিতে ভ্রমণ করে থাকেন।

৫) আর্জেন্টিনা

পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ম্যারাডোনা-মেসির দেশ আর্জেন্টিনা। মূলত সেক্স ট্যুরিজমের হাত ধরেই অর্থনীতি চাঙ্গা করার পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটি। ইতোমধ্যে যৌন ব্যবসা ও সমকামিতাকে বৈধতা দিয়েছে। এই কারণে আর্জেন্টিনায় সমকামী দেহ ব্যবসার চাহিদা এখন তুঙ্গে। সরকারের পক্ষ থেকেও সমকামী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেক্স ট্যুরিজমে আগ্রহীরা যৌন ক্ষুধা মেটাতে এই দেশটিতে ভ্রমণ করতে পারেন।

৬) ব্রাজিল

শুধু ফুটবল বা কফি নয়, লাতিনীয় সুন্দরীদের দেহের ভাঁজে কুপোকাত পুরো দুনিয়া। ব্রাজিলের তরুদের বলা হয় বিশ্বের অন্যতম যৌনাবেদনময়ী সুন্দরী। ব্রাজিলীয় তরুণীদের দেখলে আপনার মনে কামনার ঝড় উঠবেই। এই বিষটি মাথায় রেখে দেশটির সরকার সেক্স ট্যুরিজমে গুরুত্ব দিয়েছে। দেশটিতে যৌন ব্যবসা সম্পূর্ণ বৈধ। গত এক দশকে যৌন পর্যটকদের সেরা ঠিকানা হয়ে উঠেছে ব্রাজিল।

৭) ইন্দোনেশিয়া

মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় দেহ ব্যবসা শুধু আইনত স্বীকৃতই নয়, সেক্স ট্যুরিজম দেশটির রাজস্ব আয়ের অন্যত উৎস। তবে অবাধ যৌনতার জেরে দেশটি জোর করে নাবালিকাদের দেহ ব্যবসায় নামানোর ঘটনা বেড়েই চলেছে। দেশটি বিভিন্ন দ্বীপ ও সৈকতে যৌন বিলাসের জন্য আকর্ষণীয় সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক যৌন চাহিদা মিটাতে দেশটিতে ভ্রমণ করে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.