ভোটে হারলেন মাস্ক, সিইও হিসেবে তাকে চান না টুইটার ব্যবহারকারীরা



ODD বাংলা ডেস্ক: চলতি বছরের অক্টোবর মাসে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার কিনে নেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। কেনার গুঞ্জন ওঠার পরপরই দেখা যায়, অনেকেই তাকে টুইটারের মালিক হিসেবে চাননি।


নানা টানাপোড়েনের পর দায়িত্ব নিলে প্রতষ্ঠানটির কর্মী ছাঁটাইসহ নানা নিয়মকানুন পরিবর্তন করতে থাকেন তিনি। এতে সিইও'র পথ থেকে তার সরে যাওয়ার পক্ষে মতামত আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তার প্রমাণ মেলে এক সাম্প্রতিক ভোটে। খবর বিবিসির।


সিইও পদ থেকে তিনি সরে দাঁড়াবেন কিনা, স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় (১৮ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে ব্যবহারকারীর মতামত জানার জন্য টুইটারে একটি পোল অর্থাৎ ভোটের আয়োজন করেন মাস্ক। 'হ্যাঁ' ও 'না' - এই দুটি বিকল্প দিয়ে এই জনমত জরিপে তিনি প্রশ্ন করেন, 'আমার কি টুইটার প্রধান-এর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান উচিত?'


'ফলাফল যাই হোক না কেন, মেনে নেব,' এতে যোগ করেন তিনি।


আজ সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এই পোলে মোট এক কোটি ৭৫ লাখের বেশি ব্যবহারকারী ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ৫৭.৫ শতাংশ 'হ্যাঁ' ভোট দিয়েছেন, বাকি ৪২.৫ শতাংশ ভোট দিয়েছেন 'না'। অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি ব্যবহারকারী মাস্ককে সিইও পদে দেখতে চান না।


উল্লেখ্য, সিইও পদ থেকে সরে যাওয়া মানেই, মালিকানা থেকে সরে যাওয়া নয়। প্রধানের দায়িত্বে থাকেন বা না থাকেন, টুইটার মালিক মাস্ক থেকে যাবেন।


পোলটি শুরু হওয়ার পর মাস্ক ভোট প্রদানকারীদের উদ্দেশ্যে আরেকটি টুইট করেন। তিনি বলেন, 'সতর্কতার সঙ্গে জেনেবুঝে ভোট দেবেন, যেহেতু কী চাচ্ছেন তা পেতেও পারেন।'


ভোট গ্রহণ শেষ, তবে এখনও তার সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খোলেননি মাস্ক।


অতীতে মাস্কের টুইটার পোলের ফলাফল মেনে চলার দৃষ্টান্ত রয়েছে বলে জানায় বিবিসি। কারণ 'ভক্স পপুলি, ভক্স দি' এই লাতিন মতবাদে বিশ্বাস রয়েছে তার, যেটির অর্থ হলো 'মানুষের মতামতই সৃষ্টিকর্তার মতামত।'


তবে সদ্য চাকরি ছেড়ে দেওয়া এক সাবেক টুইটারকর্মী বিবিসিকে বলেন, 'আমার বিশ্বাস, বিনিয়োগকারীরা তার পদ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ দিচ্ছেন।'


মাস্ক আসল ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে টুইটার ব্যবহারকারীদের ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন, এমন নাটক সাজাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সাবেক কর্মী।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.