জেনে নিন, শিশুকে বিটরুট খাওয়ানো কী নিরাপদ

ODD বাংলা ডেস্ক: আমাদের ত্বক স্বাস্থ্যকর ও টানটান রাখার জন্য প্রতিদিন নতুন কোষের উৎপাদন হওয়া প্রয়োজন, ভিটামিন এ এই প্রক্রিয়াটিকে সুনিশ্চিত করে। ভিটামিন সি-এর ফলে কোলাজেন সিন্থেসিসের হার বাড়ে। ফলে ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য বিট উপকারি একটি সবজি।

আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে ত্বকের উজ্জ্বলতা  ক্রমশ কমতে থাকবে। তাই শীতকালে অন্তত প্রতিদিনের  খাদ্যতালিকায় বিট রাখা একান্ত প্রয়োজনীয়। এই সবজি প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের যোগান দেয়, তাই হার্ট ভালো রাখতেও নিয়মিত খেতে পারেন এই সবজিকে।

শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিটরুট শিশুদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী একটি খাবার। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, কে ও ই এবং পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, লৌহ, খনিজের মতো উপকারী উপাদান। এসব উপাদান ডায়রিয়া, রাতকানা, বেরিবেরি, কৌণিক স্টোমাটাইটিস, রিকেট, গ্লোসাইটিস, অস্টিওম্যালাসিয়া ইত্যাদি শিশুদের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। তাছাড়া শিশু যদি রক্ত স্বল্পতায় ভোগে তবে নিয়মিত খাওয়াতে পারেন বিটরুট সবজিটি। এ সবজি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তবে বিটরুট শিশুকে খাওয়ানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। 

চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুর বয়স এক বছরের ওপরে হলেই কেবল শিশুকে বিটরুট খাওয়ানো যেতে পারে। এর আগে শিশুকে বিটরুট খাওয়ানো হলে তা শিশুর হজমে সমস্যা তৈরি করবে। এক বছরের পর শিশুকে দুই চামচ করে বিটরুট খাওয়ানো শুরু করুন। এসময় শিশুর ডায়েটে সঙ্গে রাখুন অন্য সব প্রয়োজনীয় খাবার। তবে খেয়াল রাখবেন বিটরুট খাওয়ানোর পর চার দিনের মধ্যে শিশুর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে এ সবজি খাওয়ানো থেকে শিশুকে বিরত রাখুন। পরবর্তীতে শিশুকে বিটরুট খাওয়ানোর আগে অবশ্যই কোনো শিশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই শিশুকে খাওয়ান পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি বিটরুট।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.