মাছের ডিম দিয়ে রূপচর্চা করতে খরচ ৮৬ হাজার টাকা!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে তুমুল জনপ্রিয় মাছের ডিম দিয়ে রূপচর্চা। এতে খরচ হয় অন্তত ১০০০ মার্কিন ডলার।ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৮৬ হাজার টাকা। কিন্তু এই ফেশিয়ালের এত দাম কেন? নেপথ্য কারণ ক্যাভিয়ারের ডিএনএ দিয়ে এটি করা হয়।


অস্কার বা বিশেষ অনুষ্ঠানের আগে এই ফেশিয়াল করান হলিউডের তারকারা। মার্কিন সেলেব্রেটি কিম কার্দাশিয়ানের বোন ক্লোয়ি ও কোর্টনি মাসে দুই থেকে তিনবার এটি করেন।



ক্যাভিয়ার বিশ্বের অন্যতম দামি খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।


যে কারণে জনপ্রিয় ক্যাভিয়ার ফেশিয়াল

ক্যাভিয়ারের ন্যাচারাল পুষ্টিগুণ ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। চর্মের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধিতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে এটি। ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। দাগ-ছোপ দূর করে নিমিষে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে আরও তুলতুলে।


যতবার করতে হয়

দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর পর ক্যাভিয়ার ফেশিয়াল করানো শ্রেয়। তবে দূষণ, মানসিক চাপ বা সন্তানসম্ভবা মায়ের ত্বক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়লে এবং বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হলে প্রত্যেক সপ্তাহে করানোর উপদেশ দেন বিশেষজ্ঞরা।


যা থাকে ৮৬ হাজার টাকার ফেশিয়ালে

প্রথমে নানাভাবে ত্বক পরিষ্কার করা হয়। এরপর চার-পাঁচ ধরনের মাস্ক ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে কোলাজের মাস্ক থাকে। এক ধরনের এনজাইম পিল ব্যবহার হয়। শুধু এক ঘণ্টা ধরে হায়ড্রা ফেশিয়াল করানো হয়। পরে এলইডি লাইট দিয়ে ট্রিটমেন্ট করা হয়।


এই ফেশিয়ালে ফরাসি ব্র্যান্ডের নানারকম দামি ক্রিম-ময়েশ্চারাইজার থাকে। এছাড়া অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করা হয়। সঙ্গে থাকে চার ধরনের ম্যাসাজ। এর মধ্যে অন্যতম জাপানের ৫৪০ বছর পুরোনো কোবিডো পদ্ধতি। এতে মনের মতো করে মুখের পেশি গঠন করা যায়।


যতক্ষণ লাগে

ক্যাভিয়ার ফেশিয়ালে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লাগে।কোথায় কোথায় এই ফেশিয়াল হয়

নিউইয়র্ক, প্যারিস, লাস ভেগাস, লাগুনা বিচসহ অনেক শহরে বিশেষ স্পা রিসোর্টে এই ফেশিয়াল করানো হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.