ভোরের পুজোয় এই ৯ ভুল এক্কেবারেই নয়, দেব-রোষে বাড়বে দুর্ভোগ!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সনাতন ধর্মে পূজার্চনার মাহাত্ম্য স্বীকৃত। প্রতিটি গৃহস্থে ভোরবেলা ঠাকুর পুজোর চলন রয়েছে। দৈনন্দিন পুজোর পাশাপাশিও সারা বছর কোনও না-কোনও পার্বণ লেগেই থাকে। কথায় বলে বারো মাসে ১৩ পার্বণ। তাই পূজার্চনার নিয়মও জেনে রাখা দরকার। কারণ শাস্ত্র মতে পূজার্চনার সময়ে করে থাকা ছোটখাটো ভুলও তাঁদের সমস্যায় ফেলে দিতে পারে। হিন্দু ধর্মে পুজোপাঠের কিছু নিয়মের উল্লেখ রয়েছে। যা মেনে চলা জরুরি। তা না-মানলে পুণ্য ফল লাভ করা যায় না। পুজো করার সময় কোন কোন বিষয়ে মাথায় রাখবেন, জেনে নিন।


১. শ্রীমদ্ভাগবত গীতায় বলা হয়েছে যে পুজো করার সময় কখনও এক হাত দিয়ে প্রণাম করতে নেই। এমন করলে ব্যক্তির সমস্ত পুণ্য নষ্ট হয়ে যায়। সবসময় দুই হাত জোড় করে প্রণাম করতে হবে। অন্য দিকে বাবা ও বড় দাদাকে দন্ডবত প্রণাম করবেন এবং মায়ের সামনে ঝুঁকে প্রণাম করা উচিত।


২. পুজোর সময়ে ও পরে অনেকে মন্ত্র জপ করেন। শাস্ত্র মতে জপ করার সময় ডান হাতকে সবসময় কাপড় বা গোমুখী দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত। জপ করার পর আসনের নীচের জমিকে স্পর্শ করে পুজো করা উচিত। পাশাপাশি কখনও কোনও বস্তু ডান হাত দিয়ে দান করবেন না। সবসময় ডান হাত দিয়ে দান করা উচিত।


৩. জপ করার সময় ঠোঁট ও জিহ্বা যাতে না-নড়ে সে দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। এ ধরনের জপ প্রক্রিয়াকে উপাংশু জপ বলা হয়ে থাকে। এই ধরনের জপ ১০০ গুণ অধিক ফল প্রদান করে। এ ভাবে জপ করলে দেব-দেবীর বিশেষ আশীর্বাদ লাভ করা যায়।


৪. আবার পূজার্চনার প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার প্রথা রয়েছে। সবসময় দেশলাই বা অন্য কোনও বস্তু দিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা উচিত। ঘিয়ের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করলে তা সবসময় নিজের বাঁ অথবা দেব-দেবীর ডান দিকে রাখবেন। প্রদীপের তলায় চাল রাখতে ভুলবেন না।


৫. পূজার্চনায় ফুলের বিশেষ ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে কিছু কিছু ফুল পাতা রয়েছে, যা নির্দিষ্ট কিছু দেব-দেবীদের অবশ্যই নিবেদন করা উচিত, যেমন শিবকে বেলপাতা, বিষ্ণুকে তুলসী পাতা, গণেশকে দূর্বা ও লক্ষ্মীকে পদ্মফুল অর্পণ করা উচিত। অন্য দিকে শিবকে শুধুমাত্র মহাশিবরাত্রির দিনেই কুমকুম লাগাবেন, অন্য কোনও দিন নয়। শিবকে কুন্দ, বিষ্ণুকে ধুতুরা, দুর্গাকে আকন্দ ও সূর্যকে টগর ফুল অর্পণ করতে নেই।


৬. সবসময় পূর্ব দিকে মুখ করে বসে পুজো করা উচিত। নিজের বাঁ দিকে ঘণ্টা ও ডান দিকে শঙ্খ রাখবেন। ডান দিকেই পুজোর সামগ্রী এবং জলপাত্র রাখা উচিত। এ ভাবে পুজো করলে পুণ্য ফল লাভ করা যায়। পাশাপাশি যে ব্যক্তি পুজো করছে তাঁর মস্তকে যাতে তিলক থাকে, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।


৭. সরাসরি মেঝেতে বসে পুজো করবেন না। সবসময় আসনে বসে পুজো করা উচিত। এর ফলে পুজো সফল হবে। পাশাপাশি দারিদ্রও দূর হবে। পুজোর আসন সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত।


৮. সূর্য একমাত্র সাক্ষাৎ দেবতা। সূর্য পুজো করলে ব্যক্তির ভাগ্য উজ্জ্বল হতে পারে। প্রতিদিন সকালে উঠে সূর্যকে অর্ঘ্য দিন। সূর্যোদয়ের এক ঘণ্টার মধ্যে জল অর্পণ করা শুভ। এর ফলে জাতকের মান-সম্মান বৃদ্ধি পায়।


৯. স্নান করার পরই ঠাকুর ঘরে প্রবেশ করবেন। স্বচ্ছ পোশাক পরে, ঠাকুরঘর পরিষ্কার করে পুজো করুন। এর ফলে পরিবারে লক্ষ্মীর বাস হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.