Jesus Christ কি তিনিই, ছবি বা মূর্তিতে যে চেহারা আমরা দেখে থাকি

ODD বাংলা ডেস্ক: যীশু খ্রিস্ট (Jesus Christ), নামটি শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক পরম করুণাময় মুখমণ্ডল। ভেসে ওঠে দুটি আশ্চর্য উজ্জ্বল চোখ। কিন্তু আমরা বিভিন্ন ছবি বা মূর্তিতে যে চেহারা দেখে অভ্যস্ত, যীশু কি সত্যিই তেমন দেখতে ছিলেন? একদল বিশেষজ্ঞের কিন্তু ব্যাপারটিতে রীতিমত আপত্তি আছে। তাঁদের দাবী, যীশুর চেহারা সুন্দর তো ছিলই না বরং যথেষ্টই কদর্য দেখতে ছিলেন তিনি।

কথাগুলি বোধহয় উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যীশুকে (Jesus Christ) আমরা সচক্ষে কেউই দেখিনি। কিন্তু একটি বিষয় সহজেই অনুমেয়। খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ The Holy Bible অনুযায়ী, যীশু হলেন ঈশ্বরের সন্তান। তাঁকে ঈশ্বর পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন মানুষের পাপের বোঝা লাঘব করতে। এবারে ভেবে দেখুন, যিনি ঈশ্বরের সন্তান কিংবা ঈশ্বরপ্রেরিত দূত, তাঁকে তো সৌন্দর্যের অধিকারী কিংবা উচ্চকুলজাত কিংবা অন্য কোনওভাবে প্রভাবশালী হতেই হবে। অন্যথায় সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত তিনি করবেন কী করে?

হিন্দু ধর্মের দিকে তাকান। সেখানে ঈশ্বরের অবতারদের ক্ষেত্রেও শর্তটি এক। শ্রীকৃষ্ণ গোপ পরিবারে মানুষ হয়েছিলেন। কিন্তু আদতেই গোপ পরিবারের সন্তান নন। তাছাড়া তাঁর রং কালো হলেও সেই কালোর মধ্যে রয়েছে একটি আলাদা সম্মোহনী শক্তি। সকলে সম্মোহন করে। আসলে এটাই নিয়ম। অবতার বা ঈশ্বরের দূত সমাজের পতিত-নিপীড়িত হয়ে লড়বেন। কিন্তু তাঁকে নিজেকে সেই শ্রেণীতে পড়লে কী করে চলবে? তাহলে তো লোকে তাঁকে গুরুত্বই দেবে না।

অর্থাৎ ঈশ্বরের বরপুত্রকে রূপ-গুণ, সবদিক থেকেই কেউকেটা হতে হবে। সুতরাং, যীশুও (Jesus Christ) খারাপ দেখতে হতে পারেন না। এ কারণেই তাঁর চেহারার ক্ষেত্রে এ কিংবদন্তি জন্ম নিতে পারে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.