সুখী-সফল জীবনের জন্য মেনে চলুন বিদ্যাসাগরের এই বাণী, দূর হবে সংশয়
ODD বাংলা ডেস্ক: বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বাণী এখনও সকলের মনে নবজাগরণের আলো ছড়িয়ে দিতে পারে। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে পারদর্শী ছিলেন বিদ্যাসাগর। দরিদ্র মানুষের সাহায্যে সবসময় এগিয়ে যেতে তিনি, তাই দয়ার সাগর বলেও তাঁরে ডাকা হতো। একজন সমাজ সংস্কারক হিসেবে একাধিক কুপ্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। তাঁর উদ্যোগেই বিধবা বিবাহ প্রথা ও নারী শিক্ষা প্রচলিত হয়। বিদ্যাসাগরের বাণী আমাদের সমৃদ্ধ করে তোলে। শিক্ষা, কর্ম , সমাজ, দেশভক্তি ইত্যদি সম্পর্কে বিদ্যাসাগরের বাণীগুলি আজও প্রাসঙ্গিক।
১. বিদ্যা হল সব থেকে বড় সম্পদ, বিদ্যা শুধু আমাদের নিজেদের উপকার করে না বরং প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ভাবে গোটা সমাজের কল্যাণ সাধন করে।
২. সদা সত্য কথা বলবে। যে সত্য কথা বলে, সকলে তাকে ভালোবাসে।
৩. দুঃখ ছাড়া জীবন নাবিক ছাড়া নৌকার মতো।
৪. যার যে অবস্থা, সে যদি তাতেই সন্তুষ্ট থাকে, তা হলে তাকে কারও কাছে অপদস্থ ও অপমানিত হতে হবে না।
৫. আমরা নিজে যে কাজ সম্পন্ন করতে পারি, অন্যের ওপর সে বিষয়ের ভার সমর্পণ করা কখনও উচিত নয়।
৬. মানুষ যতই বড় হয়ে যাক না-কেন তাকে সব সময় তার অতীত মনে রাখা দরকার, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়া দরকার।
৭. মাতা পিতার সেবাই শ্রেষ্ঠ পুজো এবং সন্তানের প্রধান ও পবিত্রতম কর্তব্য।
৮. আমাদের নিজেদের স্বার্থ দেখার আগে, সমাজ এবং দেশ এর স্বার্থ দেখা উচিত। সেটাই হলো প্রকৃত বিবেক ধর্ম।
৯. সমাজের মঙ্গলের জন্য যা উচিত বা জরুরি হবে, তা করবে। লাকের বা কুটুম্বের ভয়ে কখনও সংকুচিত হবে না।
১০. একজন মানুষকে তখনই সর্ব শ্রেষ্ঠ কৃতিত্বের অধিকারী বলা যায় যখন সে অন্যের ভালো কজের জন্য কিছুটা সময় কাটায়।
১১. পরিশ্রম না-করলে স্বাস্থ্য রক্ষা ও সুখলাভ হয় না। যে ব্যক্তি শ্ৰম করে সে কখনও কষ্ট পায় না।
১২. পরের উপকার করতে গেলে মাঝে মধ্যে ঠকতে হয়। ঠকানোর চেয়ে ঠকা ভালো।
১৩. পৃথিবীতে সফল ও সুখী মানুষ তারাই যাদের মধ্যে বিনয় আছে। বিনয় আসে শুধুমাত্র শেখার মাধ্যমে।
১৪. একজন মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ কাজ হওয়া উচিত অন্যের কল্যাণ এবং সহযোগিতা করা। যা একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠন করে।
১৫. যারা নাস্তিক তাদের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ঈশ্বরে বিশ্বাস করা উচিত, এতেই তাদের স্বার্থ।
Post a Comment