নারীর শরীরে সোনা থাকার উপকারিতা অনেক

 


ODD বাংলা ডেস্ক: মানুষের সাজ সজ্জায় গহনা হল একটি অবিচ্ছন্ন অংশ। সব ধরনের গহনার মধ্যে সোনার চাহিদা সবচেয়ে বিপুল রয়েছে। কানের দুল, নোজপিন, ব্রেসলেট নেক পিস, বালা থেকে কোমর বন্ধনী আপনি যেকোনো সময় হিরার জায়গায় সোনা বেছে নিতে পারেন।

দেশীয় সংস্কৃতিতে যে কোনো উৎসবে এবং বিশেষ অনুষ্ঠানে সোনা পরিধান করা হয়। জানা গেছে নারীদের সোনার গহনা পরিধান করার পেছনে কী কারণ রয়েছে সেটি বোঝার জন্য গবেষণাও হয়েছিল।


ব্যাখ্যা করা হয়েছিল যে, নারীদের বয়স বাড়ার সঙ্গে তাদের শারীরিক শক্তির ক্ষয় হয়। সেই সঙ্গে শিশুর জন্ম দেওয়ার সঙ্গে মহিলাদের হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই আমাদের পূর্বপুরুষরাই সমস্যার একটি সমাধান পেয়েছেন। নারীরা যারা সোনা পরেন তার থেকে উপকারিতা পেয়ে থাকেন! এই ধাতু প্রতিদিন পরিধান করলে হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।


সোনা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। মনে করা হয় যে সোনা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যারা হার্টের অসুখে ভুগছেন তাদের জন্য সোনা উপকারী এমনটাই বলা হয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও। সোনার হার গলায় পড়ে থাকলে হার্টের অসুখ হয় না বলে মনে করেন অনেকে। কারণ বুকের উপর সোনার স্পর্শ হৃদ স্পন্দনকে স্বাভাবিক রাখে বলে মনে করা হয়।


সোনা এমনভাবে পরিধান করা উচিত যাতে পারে যাতে আপনার শরীরকে স্পর্শ করে থাকে। সোনার স্পর্শ আপনার শরীরে না লাগলে কোনো উপকার পাওয়া যাবে না। আঙুলে সোনার আংটির ঘর্ষণ আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। যদি আপনি একটি সোনার আংটি আপনার মধ্যমা বা কনিষ্ঠাতে পরিধান করেন এটি আপনার হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখবে। সাধারণ সর্দি এবং কাশি থেকে রক্ষা করে।


সোনার নাকছাবি পরিধান করলে সেটি ঋতুস্রাবের সময় ব্যথা কম করতে সাহায্য করে। এটি প্রসবের সময় জটিলতা কম করে। কোমরে চারপাশে সোনার গহনা পরিধান করলে শরীরে অ্যাকুপঞ্চার সংযোগ করতে সাহায্য করে, যার শারীরিক অনেক যন্ত্রনা সাধারণ সর্দি কাশি এবং শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা কম করতে সাহায্য করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.