ঠান্ডা লাগার ভয়ে শীতকালে দই খাবেন কি না ভাবছেন? জেনে নিন কী করা উচিত

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বছরের অধিকাংশ দিন খাদ্যতালিকায় থাকে দই। রোজ দুপুরে খাওয়ার পর ১ বাটি দই না খেলে অনেকেই দিন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তারা তো বটেই সঙ্গে সুস্থ থাকতেও অনেকে দই খান। কিন্তু, শীতের মরশুমে দই খাবেন কি না তা অনেকে ঠিক করতে পারেন না। অনেকেরই ঠান্ডা লাগার ধাত আছে। শীতের সময় ঠান্ডা লাগার ভয়ে অনেকেই খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে থাকেন দই। আজ জেনে নিন আদৌ দই খাওয়া শরীরে জন্য উপকারী কি না। বিশেষজ্ঞের মতে, শীতের সময় দই খেলে মিলবে একাধিক উপকার। জেনে নিন কী কী।


দই হাড় মজবুত করে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এটি হাড়ের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এতে থাকে কম পরিমাণে চর্বি ওজন কমাতে সাহায্য করে।


ত্বকের জন্য বেশ উপকারী দই। দই খেলে ত্বকে ময়েশ্চরাইজারের জোগান ঘটে। এমনিতেও শীতের সময় ত্বক অনেকের রুক্ষ্ম হয়ে যায়। এর থেকে মুক্তি পেতে চাইলে রোজ দই খেতে পারেন। এতে ত্বকের ভিতর থেকে কোমল হবে।


শীতের মরশুমে এমনিতেই জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যা লেগে থাকে। এই সময় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে দই খেতে পারেন। এই সময় খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন দই।


শীতের সময় গ্যাস, অম্বল, পেট ফাঁপার মতো সমস্যা চলতেই থাকে। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দই খান। রোজ খাদ্যতালিকায় রাখুন দই। এটি ভিটামিন বি ১২ ও ফসফরাসে পূর্ণ। যা শরীরের একাধিক সমস্যা দূর করে।


শীতের সময় দুপুরের খাবারে ১ বাটি করে টক দই খান। চিনি বা নুন দিয়ে না খাওয়াই ভালো। টক দই শুধু খাওয়ার চেষ্টা করুন।


ওটসের সঙ্গে দই দিয়ে খেতে পারেন। অনেকেই ওটস খেয়ে থাকেন। এবার তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন দই। মিলবে উপকার।


শসা ও দই দিয়ে রায়তা বানিয়ে খান। এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। রোজ দুপুরে খেতে পারেন রায়তা। পরিপাকতন্ত্রে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা কমে এর গুণে। শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে সারা বছর দই খেতে পারেন।


শীতের মরশুমে বাজার ভরে গিয়েছে ফলে। এই সময় ফলের সঙ্গে দই মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। এতে দ্রুত মিলবে উপকার। প্রোবায়োটিকপূর্ণ খাবার দই। এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.