লিপ কিস অথবা এস্কিমো কিস, চুমুতে বদলায় ভালোবাসার ভাষা

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  সঙ্গীর জন্য অনেক বড় সারপ্রাইজ গিফট হতে পারে চুমু। এটি খুব ছোট্ট একটি শব্দ, কিন্তু এর মানে মোটেও ছোট নয়। বরং অনেক গভীর। অনেক না বলা কথা বলা যায় একটা চুমুর মাধ্যমে। কখনো কখনো একটি চুমুর জন্যই সব দূরত্ব ঘুচে যায়। বদলে যায় সম্পর্কের গভীরতা। তবে সম্পর্ক অনুযায়ী বদলে যায় চুমুর ধরন।   চুমু এক ধরনের নয়। অনেক ধরনের হয়ে থাকে।


 বিভিন্ন ধরনের চুমু


>>গালে চুমু: এই চুমু যে কাউকে খাওয়া যেতে পারে। একজন আর একজনের গালে ঠোঁট স্পর্শ করে চুমু খায়। বাবা, মা, বন্ধু, ভাই, বোন, সন্তান যে কাউকে এই চুমু খাওয়া যেতে পারে।


>>হাতে চুমু: কারো হাত সামনের দিকে টেনে হাতের তালুর পেছনে চুমু খাওয়ার রেওয়াজ ইউরোপে বহু প্রাচীন। এর মাধ্যমে অপরের প্রতি সম্মান ও সৌজন্য প্রকাশ করা বোঝায়।


>>কপালে চুমু: কপালে চুমু খেয়ে ভালোবাসার গভীরতা এবং নির্ভরতা বোঝানো হয়ে থাকে। এটাকে সাধারণত স্টার্টার কিস-ও বলা হয়ে থাকে।


>>লিপ কিস: এই চুমুতে স্ত্রীর নিচের ঠোঁট নিজের দুই ঠোঁটের মধ্যে টেনে নেন প্রেমিক। ঐ-একই কাজ করে থাকেন প্রেমিকাও। একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পায় এই চুম্বনের মধ্যে দিয়ে। 


>>ফ্রেঞ্চ কিস: এই চুমুতে ঠোঁটের কোনো গুরুত্ব সেভাবে নেই। এখানে একজনের জিহ্বা অপরজনের জিহ্বাকে স্পর্শ করে। এই চুম্বনের মধ্যে দিয়েও ভালোবাসা প্রকাশ পায়।


>>এস্কিমো কিস: এই চুমু এস্কিমোদের থেকে আমদানি করা। এই চুমুতে নাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজনের নাক অপরজনের নাকের সঙ্গে ঘষা হয়। এই চুম্বনের মধ্যে দিয়ে স্নেহ প্রকাশ পায়।  


>>লিঙ্গারিং কিস: এই চুমুতে জিভের কোনও কাজ নেই। শুধু একজনের ঠোঁট অপরজনের ঠোঁটে আলতোভাবে ছোঁয়াতে হয়।


>>অ্যাঞ্জেল কিসিং: যখন কাউকে বিদায় জানাতে হয়, তখন তার প্রতি ভালবাসা বা স্নেহ প্রকাশ করতে তার চোখের পাতায় চুমু খাওয়া হয়। একেই অ্যাঞ্জেল কিস বলে। এই চুম্বনে স্নেহ প্রকাশ পায়। 


>>লিজার্ড কিসিং: এই চুম্বনে প্রেমিক বা প্রেমিকার মধ্যে যে কেউ অপরজনের মুখের ভেতর জিহ্বা প্রবেশ করান। 


>>লিভ আ মার্ক কিস: এই চুমু সাধারণত মেয়েরাই খেয়ে থাকেন। কারণ এই চুমু খাওয়ার আগে ভালো করে ঠোঁটে লিপস্টিক লাগাতে হয়। তারপর শরীরের যে অংশে চুমু খাওয়া হয় সেখানে ঠোঁটের ছাপ পড়ে যায়। একটা ছাপ পড়ে বলেই একে লিভ আ মার্ক কিস বলা হয়। 


>>মুভিং কিস: চুমু খেতে খেতে সঙ্গীকে ধরে যদি পেছনের দিকে ধাক্কা দেন অথবা দুইজনে গোল গোল ঘুরতে থাকেন তাহলে তাকে মুভিং কিস বলে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.