এমন মেয়েকে বিয়ে করলে অঢেল সুখ-সম্পদ থাকে স্বামীর ভাগ্য়ে, মিলিয়ে নিন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বিয়ের পর অনেকের ভাগ্যোন্নতি হয়। তাঁরা নিজের জীবনে ক্রমাগত সাফল্য লাভ করতে শুরু করে। কোনও কোনও জাতক ভালো চাকরি পান, কারও লোকসানে চলতে থাকা ব্যবসা লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। চারদিক থেকে লাভ করতে থাকেন তাঁরা। জ্যোতিষ অনুযায়ী বিবাহের পর স্বামী-স্ত্রীর ভাগ্য পরস্পরের সহায়ক হয়। অনেক সময় স্ত্রীর সৌভাগ্য়ের কারণে স্বামী নিজের জীবনে উন্নতি করতে শুরু করে। জ্যোতিষ শাস্ত্রের আর এক শাখা সমুদ্র শাস্ত্রে এমন কিছু শুভ চিহ্নের উল্লেখ রয়েছে, যা কোনও জাতিকার শরীরে থাকলে তাঁরা অত্যন্ত ভাগ্যবান হন। এই মেয়েরা যার সঙ্গে বিয়ে করেন, তাঁর ভাগ্যোন্নতি তো হয়ই, পাশাপাশি পরিবারের ভবিষ্যৎও উজ্জ্বল হয়। ভবিষ্য পুরাণ, গরুড় পুরাণ ও বিষ্ণু পুরাণ-সহ একাধিক পুরাণে এ বিষয়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। কোন কোন চিহ্ন বা লক্ষণ থাকলে সেই মেয়েরা সৌভাগ্যবতী হন জেনে নেওয়া যাক।


​ঘাড় লম্বা হলে


ভবিষ্য পুরাণ অনুযায়ী যে মেয়েদের ঘাড় চার আঙুল সমান লম্বা এবং তাতে তিনটি রেখা থাকে, সেই স্ত্রীরা অত্যন্ত ভাগ্যবতী হন। ভাগ্য সবসময় এঁদের সঙ্গে থাকে। তবে শুধু ভাগ্যের ভরসায় বসে থাকেন না এঁরা। কারণ এই মেয়েরা অত্যন্ত পরিশ্রমী হন। এঁরা যেখানেই যান না-কেন সেখানেই সম্মানিত হন। এঁদের জীবনে কখনও ধন-ধান্যের অভাব থাকে না।


​দাঁত এমন হলে


সমুদ্র শাস্ত্র অনুযায়ী যে মেয়েদের দাঁত সুন্দর, উজ্জ্বল, সাদা ও সামনের দিকে বেরিয়ে থাকে, তাঁরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান হন। জীবনসঙ্গীর ভাগ্যোদয় ঘটান এঁরা। এই মহিলাদের সঙ্গে যে বিয়ে করে, তাঁকে জীবনে কখনও পিছনে ফিরে তাকাতে হয় না। সমুদ্র শাস্ত্র অনুযায়ী এঁদের জীবনে কখনও সুখ-সুবিধার অভাব থাকে না। স্বামীর পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়ক হয় এই মেয়েরা।


​পায়ে এমন চিহ্ন থাকলে


কোনও মেয়ের পায়ে ত্রিভূজাকৃতি চিহ্ন থাকে, তা হলে তাঁরাও অত্য়ন্ত ভাগ্যবান হন। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির জন্য সৌভাগ্য নিয়ে আসেন এঁরা। পরিস্থিতি যেমনই হোক না-কেন, কখনও স্বামীর সঙ্গ ত্যাগ করেন না এঁরা। কঠিন পরিস্থিতিতেও স্বামীর পাশেই দাঁড়িয়ে থাকেন। এই মেয়েদের ওপর লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকে। ধনদেবীর আশীর্বাদে এঁরা কখনও অর্থাভাবে থাকেন না। পাশাপাশি ধনসম্পদের অধিকারী হন এঁরা।


​নাভির পাশে এমন চিহ্ন থাকলে


সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী কোনও মেয়ের নাভির পাশে তিল বা অন্য কোনও চিহ্ন থাকলে তাঁরা ভাগ্যের ধনী হন। এঁদের জীবনে কখনও সুখের অভাব থাকে না। এই মেয়েরা অর্থ সঞ্চয়ে পারদর্শী হন। পরিবারের সদস্যদের একসূত্রে বেঁধে এগিয়ে যান এই রাশির মেয়েরা। অত্যন্ত পরিশ্রমী ও সংবেদনশীল হন এঁরা। এঁদের সঙ্গে বিয়ে করলে স্বামীর ভাগ্যোন্নতি ঘটে।


​অন্যান্য বৈশিষ্ট্য


শাস্ত্র মতে যে মেয়েদের মুখ মাংসল, গোল, মসৃণ, আকর্ষক হয় তাঁরা সৌভাগ্যশালী হন। আবার যাঁদের ললাট সমতল ও সিঁদূর লাগানোর স্থানটি উন্নত, তাঁদের স্বামীর আয়ু দীর্ঘ হয়। ভুরু একসমান ও নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকলে ও ধনুকের মতো ঝুঁকে থাকলে সেই মেয়েরাও নিজের স্বামীর জন্য সৌভাগ্য নিয়ে আসেন। হাতের নখ ও আঙুল পাতলা যে মেয়েদের তাঁরাও ভাগ্যবতী হন। পায়ের আঙুল কোমল ও পরস্পরের সঙ্গে লেগে থাকাও শুভ ইঙ্গিত বহন করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.