একসঙ্গে নয় সন্তানের জন্ম দিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন তরুণী

 


ODD বাংলা ডেস্ক: একসঙ্গে নয় সন্তানের জন্ম দিয়ে গিনেস বুকে নাম তুলেছেন মালির এক তরুণী। চিকিৎসাশাস্ত্রে বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘ননপ্লেট’। তবে এই বিষয়টি বইয়ের পাতাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। ২০২১ সালে সবাইকে চমকে দিয়ে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন মালির এক তরুণী। একসঙ্গে নয়টি সন্তানের জন্ম দিলেন তিনি।

মালির তরুণীর নাম হালিমা সিসে। একসঙ্গে নয় সন্তানের জন্ম দিয়ে অনন্য নজির গড়েছেন তিনি। মাত্র ২৫ সপ্তাহের গর্ভাবস্থার পরেই হালিমার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। হাসপাতালে দীর্ঘদিন ভর্তি রাখার পরে ৩০ সপ্তাহের মাথায় তার অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা।


মোট ৩৫ জন চিকিৎসক মিলে হালিমার অস্ত্রোপচার করেন। পাঁচটি কন্যা ও চারটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু অত্যধিক রক্তক্ষরণের ফলে তাঁর প্রাণ নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছিল। সদ্যোজাত শিশুদের ওজন ছিল ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজির মধ্যে। তারাও বেঁচে থাকবে কিনা, সন্দেহ ছিল চিকিৎসকদের।



জন্মের পর দীর্ঘদিন হাসপাতালের ইন কিউবেটরে রাখা হয়েছিল নয় খুদেকে। মালির বদলে মরক্কোর হাসপাতালেই তাদের চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত নেয় মালির প্রশাসন।


১৯ মাস ধরে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয় নয় খুদেকে। যাবতীয় আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে সুস্থভাবেই বেড়ে উঠতে থাকে তারা। নয় খুদের বাবা আবদেলকাদের আরবি জানিয়েছেন, বহাল তবিয়তে বেড়ে উঠছে তারা। দিনে প্রায় একশোর বেশি ন্যাপি পালটাতে হিমশিম খাচ্ছেন সদ্য অভিভাবকরা।


দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে অবশেষে দেশের মাটিতে ফিরেছেন হালিমা। স্বামী ও নয় সন্তানকে নিয়ে ঘরে ফিরে বেজায় খুশি তিনি। একসঙ্গে নয় সন্তানকে স্বচক্ষে দেখতে উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন মালির সাধারণ মানুষ।



বিশ্বে প্রথমবার একসঙ্গে নয় সন্তানের জন্ম দিলেন কোনও মহিলা। গিনেস বুকে তাঁর নাম উঠল। আগে সর্বোচ্চ আটজন সন্তানের জন্ম দেওয়ার রেকর্ড ছিল। ২০০৯ সালে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন নাদিয়া সুলেমান নামে এক মার্কিন মহিলা।


এই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে মালি প্রশাসন। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিমিনাতোউ সাঙ্গারে বলেছেন, হালিমাকে নিয়ে তিনি গর্বিত। সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠুক এই নয় সন্তান, এই প্রার্থনা চলছে নেট দুনিয়া জুড়ে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.