ঠাণ্ডা নাকি গরম দুধ, কোনটি শরীরের জন্য ভালো

 


ODD বাংলা ডেস্ক: দুধ ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং পটাসিয়ামের দারুণ একটি উৎস। দুধের গুণের শেষ নেই। তবে বেশির ভাগ মানুষই গরম দুধ পান করতে পছন্দ করে। আবার এক দল দেখবেন ঠাণ্ডা খেতে পছন্দ করে।


অনেকে আবার বলে থাকেন, ঠাণ্ডা দুধ শরীরের  জন্য ভালো। যে যা-ই বলুক, আপনি কি ভেবে দেখেছেন কোনটি ভালো? আজ পাঠকদের জন্য থাকছে এই বিষয়ে কিছু কথা।   

দুধ গরম করার ক্ষেত্রে যেটা হয়, তাপের সংস্পর্শে এসে এর রাসায়নিক এবং পুষ্টিগুণ পরিবর্তিত হতে পারে আবার না-ও হতে পারে। তবে ঠাণ্ডা দুধের ক্ষেত্রে সব পুষ্টি অক্ষত থাকে।


ভারতের ম্যাক্রোবায়োটিক নিউট্রিশনিস্ট এবং হেলথ প্র্যাকটিশনার শিল্পা অরোরা বলেন, ‘গরম বা ঠাণ্ডা দুধ আবহাওয়া এবং সময়ের ওপর নির্ভর করে। গ্রীষ্মকালে দিনের বেলা ঠাণ্ডা দুধ খাওয়া ভালো। কারণ এটি শরীরকে ঠাণ্ডা করে। শীতকালে অবশ্যই ঠাণ্ডা দুধ এড়িয়ে চলতেই হবে। তবে এর পরিবর্তে গরম হলুদ মেশানো দুধ পান করতে পারেন। যা শরীরকে পুষ্টি ও উষ্ণতা জোগাবে। ভুল সময়ে বা পরিবেশে দুধ পান করার ফলে শ্লেষ্মা হতে পারে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। ’


এদিকে ভারতের শ্রী বালাজি অ্যাকশন মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের চিফ নিউট্রিশনিস্ট প্রিয়া ভার্মা এ বিষয়ে বলেছেন, ‘দুই ধরনের দুধেই সমান পুষ্টিগুণ রয়েছে। তবে এর কার্যকারিতা আবহাওয়ার অবস্থার ওপর নির্ভর করে। শীতকালে ঠাণ্ডা দুধ পান করা উচিত নয়, কারণ এর ফলে আপনার সর্দি ও কাশি হতে পারে। ’


গরম দুধ কতটা উপকারী?


গরম দুধের অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো, সহজে হজম হবে। পেটের যত্ন নিবে। গরম বা উষ্ণ দুধ ঘুমেরও যত্ন নিবে। কারণ এতে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো এসিড থাকে, যা রাসায়নিক সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন তৈরি করে ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।  


ঠাণ্ডা দুধ কিভাবে উপকারী?


ঠাণ্ডা দুধ আশ্চর্যজনকভাবে একটি উপকারী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এটি অম্বল বা এসিডিটিতে পেট ঠাণ্ডা রাখে। জ্বালা-পোড়া দূর করে। অধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম এসিড তৈরি প্রতিরোধ করে এবং অতিরিক্ত এসিড শোষণ করে এর লক্ষণগুলো কমিয়ে দেয়। ঠাণ্ডা দুধ  ইলেকট্রোলাইটে  পরিপূর্ণ থাকে। যা শরীরকে ডিহাইড্রেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। সকালে ঠাণ্ডা দুধ পান করলে সারা দিন হাইড্রেট থাকে।  


যাই হোক, ঘুমের সময় এটি এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এটি হজমের সমস্যা বাড়াতে পারে।


কোনটি ভালো?


দুধ নিজেই একটি সুপারফুড এবং একাধিক উপায়ে খেতে পারেন। ঠাণ্ডা বা গরম দুই অবস্থারই বেশ কয়েকটি সুবিধা আছে। তাই এত চিন্তা না করে শীতকাল বা গরমকাল বুঝে পান করে যান।


তবে আপনার যদি অ্যালার্জি থাকে, তবে উভয় প্রকার দুধই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.