নাকের এই সমস্যার কারণে কমতে পারে ঘ্রাণশক্তি
ODD বাংলা ডেস্ক: নাক ও সাইনাসের ভেতর এক ধরনের নরম, বর্ণ ও অনুভূতি বিহীন, নন ক্যান্সারাস ( ক্যান্সার না এমন) কিছু ফোলা বস্তু আঙুরের থোকার মতো ঝুলে থাকতে দেখা যায়—এগুলোকে পলিপ বলা হয়।
শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বাধা সৃষ্টি করে নাকের পলিপ
দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত নাকের অ্যালার্জি, সাইনোসাইটিস, নাকের হাড় বাঁকা, মাংস অতিরিক্ত বৃদ্ধি, ভিটামিন ‘ডি’-এর অভাব, সিস্টিক ফাইব্রোসিস নামক রোগজনিত সমস্যা চিকিৎসা বা নিয়ন্ত্রণ না করলে এ ধরনের পলিপ এবং এসংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতা হতে পারে।
লক্ষণ
ছোট পলিপ অনেক সময় তেমন কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না, তবে আকারে বড় হলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। এর মধ্যে ১০টি লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো।
- নাক দিয়ে জল বা কফ বের হওয়া
- নাক জ্যাম বা বন্ধ থাকা, নাক দিয়ে শ্বাস নিতে না পারা
- নাকের পেছন থেকে গলায় কফ এসে জমে থাকে। এতে বারবার গলা পরিষ্কার করার পরও গলা পরিষ্কার হয় না।
- ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া বা একেবারে চলে যাওয়া
- খাবারে টেস্ট না পাওয়া
- মাথা বা মুখমণ্ডলে ব্যথা অনুভব হওয়া
- ওপরের দাঁত ও চোয়ালে ব্যথা
- কপাল ও মুখমণ্ডলে এ চাপ অনুভব হওয়া
- নাক ডাকা ও হাঁ করে ঘুমানো
- প্রায়ই নাক থেকে রক্তপাত
মেডিক্যাল চিকিৎসা
- করটিকোস্টেরয়েড ন্যাজাল স্প্রে
- ওরাল এবং ইনজেক্টেবল করটিকোস্টেরয়েড
- ডুপিলুমাব জাতীয় কিছু ওষুধ পলিপের আকৃতি কমাতে ও শ্বাসের রাস্তা পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
- অ্যান্টিহিস্টামিন ও অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য : দীর্ঘমেয়াদি সাইনাস ইনফেকশন ও অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার হয়।
- অন্যান্য—এসপিরিন ডিসেন্সিটাইজেশন
সার্জিক্যাল চিকিৎসা
ওষুধের মাধ্যমে পর্যাপ্ত সফলতা না এলে পলিপ থেকে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হলে বা শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হলেই শুধু অপারেশন করা হয়।
বিভিন্ন ধরনের অপারেশনের মধ্যে বর্তমানে এন্ডোসকোপিক সাইনাস সার্জারি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও কার্যকর। এতে নাকের বাইরে কোনো ধরনের কাটাছেঁড়া করা হয় না, নাকের ছিদ্রের ভেতর দিয়ে ক্যামেরা ও বিভিন্ন বিশেষ যন্ত্রপাতির মাধ্যমে নাক ও সাইনাসের সব পলিপ বের করে নিয়ে আসা হয়। অনেক সময় ডে কেয়ার হিসেবে এই অপারেশন করা হয়। এতে হাসপাতালে ভর্তি থাকারও প্রয়োজন হয় না।
সফল অপারেশনের পরও পরবর্তী সময়ে পুনরায় না হওয়ার জন্য অপারেশন-পরবর্তী কিছু চিকিৎসা ও ফলোআপের প্রয়োজন রয়েছে।
Post a Comment