ঘণ্টাধ্বনি দূর করে কালসর্প দোষ, শান্ত করে রাহু-কেতুর অশুভ দশা
ODD বাংলা ডেস্ক: যখনই আমরা জ্যোতিষে সেই সব গ্রহগুলি নিয়ে কথা বলি, যারা জাতকের জীবনে সবথেকে অশুভ ফল প্রদান করে, তখনই আসে রাহু ও কেতুর নাম। রাহু ও কেতুর অশুভ দশায় জাতকের জীবনে টানা কয়েক বছর ধরে সংকট চলতেই থাকে। বলা হয়ে থাকে রাহু কেতুর অশুভ প্রভাবে ৪২ বছর ধরে খারাপ সময় পিছু ছাড়ে না। এই কারণে জ্যোতিষ রাহু ও কেতু, এই ছায়া গ্রহদুটি এত গুরুত্বপূর্ণ।
শাস্ত্রে রাহু ও কেতুকে সাপর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। যে ভাবে একটি সাপ পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে শিকার ধরে, সেভাবেই রাহু কেতু ধীরে ধীরে জাল ছড়িয়ে জাতকের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। সময়ে দোষ কাটানোর উপায় গ্রহণ না করলে জীবন তছনছ হয়ে যেতে পারে। শাস্ত্রে রাহুকে সাপের মাথা এবং কেতুকে সাপের লেজ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই কারণে রাহু কেতু মিলিত ভাবে জন্মছকে মারাত্মক কালসর্প দোষ তৈরি হয়।
কালসর্প দোষ
জন্মছকে কালসর্প দোষ থাকলে তা জাতকের জীবনকে ছারখার করে দিতে পারে। কালসর্প দোষ কাটাতে অনেক পুজো ও যজ্ঞ করা হয়ে থাকে। কিন্তু জানেন কি, আপনার ঘরেই এমন একটি সামগ্রী আছে, যার সঠিক ব্য়বহার কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি দিতে পারে। পেতলের ঘণ্টা সঠিক ভাবে ব্যবহার করে রাহু কেতুর অশুভ দশাকে শান্ত করে কালসর্প দোষের প্রভাব কমানো যেতে পারে।
বাস্তু অনুসারে ঘণ্টা বাজালে তার থেকে যে তরঙ্গ বা ভাইব্রেশন সৃষ্টি হয়, তা নেগেটিভ এনার্জিকে দূরে সরিয়ে পজিটিভ এনার্জির প্রবাহ নিয়ে আসে। এই কারণে মন্দিরে ঘণ্টা বাজানো হয়ে থাকে। পেতলের ঘণ্টা থেকে নির্গত আওয়াজ রাহু কেতুর দোষ খর্ব করে। রাহু ও কেতুর অশুভ প্রভাবে মনের মধ্য়ে টেনশন ও সংশয় বাড়ে। সেই কারণে জাতক তখন ঠিকঠাক চিন্তাভাবনা করার শক্তি হারান। তাঁর সমস্ত চিন্তা ভুল পথে চালিত হয়। ঘণ্টাধ্বনি পজিটিভ এনার্জি বাড়িয়ে মনের গতি সঠিক করে।
শাস্ত্র অনুসারে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যখন সৃষ্টি হয়, তখন একটি আওয়াজ ছিল। এই আওয়াজকে ঘণ্টাধ্বনির মতো মনে করা হয়। পুরাণ অনুসারে শ্রীবিষ্ণুর বাহন গড়ুঢ় পাখির ঘণ্টাধ্বনি অত্যন্ত প্রিয় বলে মনে করা হয়। গরুঢ় মন্ত্রে যে শব্দ তরঙ্গ আছে, তা অনেকটা ঘণ্টাধ্বনির মতোই। সেই কারণে ঘণ্টা বাজালে গড়ুঢ় পাখির আশীর্বাদ লাভ করা যায় বলে মনে করা হয়। পেতলের ঘণ্টার মাথায় গড়ুঢ় পাখির ছবি থাকলে তা সবথেকে ভালো বলে মনে করা হয়। একহাতে জ্বলন্ত ধূপকাঠি এবং অন্য হাতে ঘণ্টা বাজিয়ে আরতি করলে তা দারুণ শুভ ফল নিয়ে আসে।
ঘণ্টা বাজানোর উপকারিতা
* কোথাও দীর্ঘদিন টাকা আটকে থাকলে নিয়মিত ঘণ্টা বাজিয়ে আরতি করতে মা লক্ষ্মী খুশি হন ও আপনি পাওনা টাকা ফেরত পেতে যান।
* ঘণ্টার আওয়াজ আমাদের মন ও হৃদয় শান্ত করে। এর ফলে ঈশ্বরের প্রতি মনোনিবেশ করা আমাদের পক্ষে সহজ হয়।
* বিজ্ঞান বলছে যে ঘণ্টাধ্বনি শুধু নেগেটিভ এনার্জিকে ধ্বংস করে না, তার সঙ্গে বাতাসে উপস্থিত অনেক ভাইরাস ও ব্যাকটিরিয়াকেও ধ্বংস করে। এর ফলে পরিবেশে পজিটিভ এনার্জি ছড়িয়ে পড়ে।
* জ্যোতিষ অনুসারে পেতলের ঘণ্টার আওয়াজ আমাদের মস্তিষ্কের ডান ও বাম প্রকোষ্ঠকে সজাগ ও সক্রিয় করে তোলে।
Post a Comment