নিজেই নিয়ন্ত্রণ করুন সাইনোসাইটিস



 ODD বাংলা ডেস্ক: আমাদের মুখমণ্ডলের মধ্যে চার জোড়া বায়ু কুঠুরি বা সাইনাস থাকে। সাইনাসগুলোর ভেতর থেকে পাতলা মিউকাস নিঃসরণ হয়। এই মিউকাস চিকন নল বা ছিদ্রের মাধ্যমে আমাদের নাকের ভেতর বেরিয়ে আসে এবং এর মাধ্যমে সাইনাসগুলো নিজেরা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত থেকে নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।


এই সাইনাসের ভেতর থাকা পাতলা মিউকাস আবরণে যখন প্রদাহ হয়, তখন এটিকে ‘সাইনোসাইটিস’ বলা হয়।


এটি সাধারণত সাধারণ ঠাণ্ডা-সর্দি থেকে শুরু করে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস সংক্রমণের মাধ্যমে হতে পারে। সাইনোসাইটিস যেকোনো সময়, যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে।

নিয়ন্ত্রণের উপায়


♦ ঠাণ্ডা খাবেন না, ঠাণ্ডা লাগাবেন না


♦ কুসুম গরম জলে স্নান। শীতকালে কুসুম গরম জল পান করুন


♦ ফ্রিজের ঠাণ্ডা জল ও বরফ আইসক্রিম খাবেন না


♦ ধুলাবালিময় পরিবেশে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন


♦ দিনে দু-একবার স্টিম ইনহেলেশন নিন কিংবা গরম জলের ভাপ নাক দিয়ে টানুন ও মুখ দিয়ে ছাড়ুন


♦ সর্দি-ঠাণ্ডা বা ফ্লুতে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ সাময়িকভাবে এড়িয়ে চলুন


♦ বেশি গরমে কাজ করবেন না কিংবা একসঙ্গে টানা বেশি পরিশ্রম করবেন না


♦ নির্দিষ্ট কোনো খাবারে অ্যালার্জি থাকলে সেই খাবার পরিহার করুন


♦ ঘরের মেঝেতে কার্পেট ব্যবহার করবেন না। বিছানার চাদর, পর্দা, মেঝে নিয়মিত পরিষ্কার করুন


♦ ঘরের চারপাশ খোলামেলা রাখুন ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ পরিহার করুন


♦ সর্দি, হাঁচি ও কাশির সঙ্গে সঙ্গে কান ও মাথা ব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ যেকোনো একজন নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।


কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?


যদি পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে লক্ষণগুলোর উন্নতি না হয় বা একটানা প্রচণ্ড জ্বর থাকা, চোখে ঝাপসা দেখা ও ফুলে লাল হয়ে যাওয়া, প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, বমি ও অজ্ঞান হওয়া, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়, তবে হাসপাতালে যান অথবা একজন নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।


যথাযথ চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কখনো নাকের ড্রপ বা স্প্রে তিন থেকে পাঁচ দিনের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। এতে অনেক সময় নাকের জ্যাম আরো বেড়ে যেতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.