ছবি দেখে বলুন তো বিড়ালটি সিঁড়ি বেয়ে নামছে না উঠছে?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: এটি একটি পুরনো ছবি, যা খুব সহজেই দৃষ্টি বিভ্রম তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি ছবিটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। 

অপটিক্যাল ইলিউশন বা দৃষ্টি বিভ্রম সৃষ্টিকারী ছবি এমন ভাবে সাজানো হয় যেখানে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য তৈরি হলে আমূল বদলে যেতে পারে পুরো দৃশ্যটাই। এ ক্ষেত্রেও তাই ঘটছে। বহু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিটি শেয়ার করছেন। 


কেউ বলছেন, বিড়ালটি লেন্সে ধরা দিয়েছে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময়। তার সামনের দিকের ডান পা নিচের দিকে নামানো। কেউ আবার বলছেন, বিড়ালটি আসলে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছে, তার ডান পা উপরে ওঠানো রয়েছে।


অনেকে আবার মজা করে দার্শনিক ভাবে লিখেছেন এই বিড়ালটি একই সময়ে দুই দিকে যাত্রা করছে। কিন্তু ঘটনাটা আসলে কী! জানতে গেলে ভালো করে দেখে নিতে হবে সিঁড়ির গতি-প্রকৃতি।


এই বিড়ালটির ছবি প্রথমবার শেয়ার করা হয়েছিল ২০১৫ সালে। তারপর থেকে এটি ক্রমাগত মানুষকে বিভ্রান্ত করে চলেছে। আর দৃষ্টি বিভ্রম সৃষ্টিকারী ছবির এমনই মায়া যে মানুষ তা কাটিয়ে বেরতে পারে না। আবার সমাধানও করতে পারে না।


এক ব্যক্তি লিখেছেন, এটি সিঁড়ি থেকে নিচের দিকে নামছে বলে মনে হচ্ছে, কারণ সিঁড়ির কোণ গুলি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো ক্যামেরাম্যান কোথায় ছিলেন, উপরে বা নিচের দিকে। 


আর একজন এর বিরোধিতায় লিখেছেন দেখতে হবে বিড়ালে বাম পাঞ্জাটি কোথায়। মনে হচ্ছে বিড়ালের বাম পাঞ্জাটি একটি সিঁড়ির উপর রাখা রয়েছে। ফলে সে আরোহী অবস্থানে রয়েছে।


তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, এটি শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল, সিঁড়ি বেয়ে উপরে এবং নিচে উভয় দিকেই হাঁটছে।


বিড়ালটি আসলে নেমেই আসছে। সিঁড়িগুলো ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এর মাথার দিকে খানিকটা উঁচু অংশ রয়েছে, যা থেকে প্রমাণ হয় এগুলো সিঁড়ির তলদেশকেই চিহ্নিত করছে। বিড়ালের বাম থাবাটি পরবর্তী সিঁড়িতে নামার অপেক্ষায় রয়েছে, আর ডান থাবাটি উদ্যত পরের সিঁড়ির দিকে।


তাছাড়া সিঁড়ির পাশের দিকে যে ছায়া পড়ছে তা থেকেও বোঝা যায়, আলো উপর দিকে রয়েছে এবং ছবিটি নিচ থেকে তোলা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.