চীনের বিস্ময়কর পদ্ধতি

 


ODD বাংলা ডেস্ক: মরুভূমিতে চাষাবাদ করার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে চীন। দীর্ঘকাল ধরে মরুকরণের সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন সেখানকার অনেক মানুষ। এই লড়াই করতে করতেই চীনারা বেশ কিছু কার্যকর পদ্ধতি উন্নয়ন করেছেন। যা বিশ্বের মরুকরণ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

২০১৯ সালে নাসার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পৃথিবী ২০ বছর আগের তুলনায় আরো সুবজ হয়েছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে চীনের ব্যাপক পরিমাণে বন তৈরি ও সবুজায়ন করা। দেখা যাক চীনা সে পদ্ধতিগুলো:


টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘১৯৮৮ সালে চীনা ফার্ম এলিয়ন রিসোর্সেস গ্রুপ মরুকরণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য স্থানীয় জনগণ এবং বেইজিং সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করে। প্রায় তিন দশক পরে, কুবুকির এক তৃতীয়াংশ সবুজ করতে সমর্থ হয়। স্থানান্তরিত বালিকে আঁকড়ে ধরার জন্য বিশেষ গাছপালা আবাদ করা হয়েছে।’


সিআরআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী,  চাইনিজ রুবিকের কিউব মরুভূমিকে ১বাই ১ মিটার বর্গক্ষেত্র আকারে ভাগ করে এবং ১০ থেকে ২০ সেমি গভীরে খনন করা হয়। তা বাতাস প্রতিরোধ করে বালিকে স্থির এবং জল ধরে রাখে। চীন এখন এ ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জাম উদ্ভাবন করেছে, যার ফলে কাজের কার্যকারিতা অনেক উন্নত হয়েছে।


>>১০ সেকেন্ডে বৃক্ষ রোপণ পদ্ধতি চালু: জলের চাপ ব্যবহার করে বালিতে ১ মিটার গভীর গর্ত তৈরি করে সেখানে বৃক্ষ রোপন করা হয়। এভাবে চাষ করলে কেবল ১০ সেকেন্ড সময় লাগে এবং ৯০ শতাংশ বৃক্ষ বেঁচে যায়।


>> সৌরশক্তির প্যালেট: সৌরশক্তির প্যালেটের নিচে জল সাশ্রয়ী ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। তাতে সবুজ ও অর্থকরী খাদ্যশস্য চাষ করা হয়।


>> বালিকে মাটিতে পরিণত করার পদ্ধতি: ২০০৯ সালে চীনের অধ্যাপক ই চি চিয়ান এক ধরণের ফাইবার আঠার উদ্ভাবন করেছেন। এ আঠার মাধ্যমে বালি সংযুক্ত হয়। যা জল, পুষ্টি ও বায়ু ধারণ করতে পারে।


>>মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি: প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের চীনারা অবিরাম পরিশ্রমের মাধ্যমে চীনের মরুকরণ মোকাবিলার বিষ্ময় সৃষ্টি করেছেন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.