যে গল্প বলছে সোনার জিহ্বা
ODD বাংলা ডেস্ক: জিহ্বা হচ্ছে অধিকাংশ মেরুদণ্ডী প্রাণীর মুখের একটি পেশীবহুল অঙ্গ। এটি খাদ্য চিবুতে এবং তা গিলে ফেলতে সহায়তা করে। জিহ্বা পরিপাকতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। শুধু তাই না, এটি হচ্ছে স্বাদের প্রাথমিক অঙ্গ।কিন্তু জিহ্বা যদি সোনার হয়?
একবার মিসরের কায়রোতে আড়াই হাজার বছর আগের পুরোনো দুইটি কবর থেকে একজন নারী ও একজন পুরুষের দেহাবশেষ উদ্ধার হয়। এরপর দেখা যায়, তাদের দেহাবশেষের জিহ্বার স্থলে সোনার পাত। সোনার সেই পাতটি অবিকল জিহ্বার আদলে গড়া।
আলাদা সমাধিতে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ২৫০০ বছর আগে চুনাপাথর সম্বলিত স্থানে তাদের কবর দেওয়া হয়েছিল। পুরুষের দেহাবশেষ যে সমাধি থেকে উদ্ধার হয়েছে, সেখানে আরো বেশ কিছু জিনিস পাওয়া গেছে। দেহাবশেষগুলোর পাশেই রাখা ছিল ক্যানাপিক জার, পাথরের পোকা ছিল।
যদিও নারীর দেহাবশেষ দেখা গেছে কিছুটা অগোছালো। সমাধি খননকারী দস্যুরা হয়তো সেখানে আগেই অভিযান চালিয়েছিল! এমনটাও ধারণা করেন কায়রোর সরকারি কর্মকর্তারা।
অনেকের ধারণা, মরদেহের সঙ্গে সোনার জিহ্বা দেওয়ার কারণ হতে পারে- তাদের আত্মার প্রতি করুণা দেখানোর জন্য রাজি করার উপায়। তবে সেটি কারো কারো বিশ্বাস মাত্র।
পুরুষটির মাথার খুলি এখনো ভালোভাবে সংরক্ষিত আছে এবং সোনার জিহ্বাটি স্পষ্টভাবে মুখ থেকে উঁকি দিতে দেখা গেছে। জিহ্বাটি মনে করিয়ে দিচ্ছে, ২৫০০ বছর আগের মানুষের বিশ্বাস, ধ্যান আর ধারণার কথা।
Post a Comment