শাশুড়ি স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে দেয়, কী করব এখন?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বিয়ের পরে সবাই চায় সুখের একটি সংসারের। সংসারের প্রতিটি সদস্যের প্রচেষ্টা ছাড়া এই স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব না। একজনের খারাপ আচরণ পুরো পরিবারে অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু গল্পটা যে বলে মনে হয়, তার কোনো সমস্যা নেই। মনোবিদরা সেই একার বলে চলা গল্পেও সমস্যার সমাধান খুঁজে পান।

এই গল্পটি ছন্দার (ছদ্মনাম)। তিনি বলছেন,  ‘অনেকের স্বামীই স্ত্রীর মনের কথা বেশ বোঝেন। কিন্তু অনেকের ভাগ্যই হয়তো আমার মতো। স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবনে যখন পরিবারের অন্য় সদস্যরা হস্তক্ষেপ করতে শুরু করেন, তখন অশান্তির শেষ থাকে না। এমনিতে আমার স্বামীর সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই। ঝগড়া হওয়ারও কথা নয়। সামান্য যেটুকু ঝগড়া এক দম্পতির মধ্য়ে হয়, ঠিক ততটুকুই। কিন্তু তার বেশি সেরকম কোনো সমস্যা আমাদের মধ্য়ে নেই। কিন্তু দিনের পর দিন এখন যেন সমস্যা বাড়ছে। তার অন্যতম কারণ আমার শাশুড়ি। তিনি খুবই ম্যানিপুলেটিভ। সবাইকে নিজের মতো করে চালাতে ভালোবাসেন। সবাইকে নিজের আঙুলের ডগায় নাচাতে চান। তাই আমার নামে তার ছেলের কাছে গিয়ে দুটি খারাপ কথা বলার আগে দুবার ভাবেন না। কারণ, তিনি আমাদের মধ্য়ে আসলে ঝগড়া বাধাতে চান। আমার শাশুড়ি প্রতিদিনই আমার সঙ্গে নানা কথা বলতে বসেন। সেই সময়ে নিজের ছেলের নামে অজস্র অভিযোগ করতেই থাকেন। উল্টা-পাল্টা কথা বলেন আমার স্বামীর নামে। এই কথা ঠিক যে, আমি ও আমার স্বামীও কিছু সমস্যার মুখোমুখি হই প্রতি মুহূর্তে। সব সম্পর্কেই সমস্যা কম বেশি থাকেই। সেই কথা আমিও শাশুড়িকে জানিয়ে ফেলি। আর তিনি আমার স্বামীকে গিয়ে সেই কথা বলে দেন। এই কথাও বলেন যে, আমি স্বামীর সঙ্গে একদমই খুশি নই। ওর সঙ্গে থাকতে চাই না। শাশুড়ির থেকে আলাদা হতে পারব না। কারণ, আমরা সবাই একসঙ্গে থাকি। অথচ, তিনি যেভাবে চলছেন, সেটিও মেনে নিতে পারছি না। কী করব ?’


বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:  ‘প্রত্যেক পরিবারে কমিউনিকেশনের প্যাটার্ন আলাদা আলাদা হয়। আপনার পরিবারেও তাই। কোনো যৌথ পরিবারকে বেঁধে রাখতে কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ প্রধান ভূমিকা পালন করে। এটিই স্তম্ভের মতো। যা পরিবারের বন্ধনকে আরও মজবুত করে। যারা নিউক্লিয়ার পরিবারে বড় হয়েছেন, তাদের জন্য এই পরিবেশ একদম অন্যরকম। তাই একটু মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়। বুঝতেও সমস্যা হয়।


আপনি সরাসরি আপনার শাশুড়ির সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন। তাকে আপনার কথা বলুন। আপনি কী পছন্দ করেন বা করেন না, তা সরাসরি আলোচনা করাই ভালো।


>>প্রত্যেক সম্পর্কেই একটি ব্যক্তিগত পরিসর প্রয়োজন। আপনার শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক যেমনই হোক, সেখানে একটি সীমারেখা টানা প্রয়োজন। যদি তিনি আপনার ও আপনার স্বামীর মধ্য়ে সমস্যা নিয়ে বারবার কথা বলতে চান ও মতামত দেন, সেটায় বাধা দিতে হবে।


>>তাকে ভালো করে বুঝিয়ে বলতে হবে যে, প্রত্যেক সম্পর্কেই সীমারেখা থাকা প্রয়োজন। সেখানে আপনি অন্য কাউকে অ্যালাও করতে পারেন না।


>>হয়তো আপনার শাশুড়ি মনে করছেন, এভাবে কথা বললে আপনার ও স্বামীর মধ্য়ে সমস্যা ঠিক হবে। আবার তিনি এরকম নাও মনে করতে পারেন। এই বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য কমিউনিকেট করা প্রয়োজন। স্বামীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সমস্যা অন্য কারো সঙ্গে আলোচনা না করাই ভালো। 


পরবর্তী সময় থেকে এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে হয়তো আর এই সমস্যা ফিরে আসবে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.