রোগ-মুক্তি, কেরিয়ারে উন্নতি... সব আশা পূরণ করবে দুধের সহজ টোটকা
ODD বাংলা ডেস্ক: অত্যন্ত পুষ্টিকর দুধকে সম্পূর্ণ খাবার বলে মনে করা হয়। আবার হিন্দু শাস্ত্রে পূজার্চনার ক্ষেত্রেও দুধের বিশেষ ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। পূর্ণিমায় চাঁদের আলোয় রাখা দুধের পায়েসকে অমৃত মনে করা হয়। অন্য দিকে শিবের অভিষেকেও দুধ ব্যবহার করা হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রে দুধের এমন কিছু উপায়ের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা দুভার্গ্য ও বড়সড় সমস্যাকেও দূর করে দেয়।
অর্থ বৃদ্ধির উপায়
রবিবার রাতে ঘুমানোর সময় নিজের মাথার কাছে এক গ্লাস দুধ ভরে রেখে দিন। সকালে সেই দুধটিকে বাবলা গাছের গোড়ায় ঢেলে দিন। রবিবার এই উপায় করলে বাড়িতে আর্থিক সমৃদ্ধি ও আনন্দের আগমন ঘটে।
পরিবারে শান্তি বজায় রাখার জন্য
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হলে বা একে অপরের প্রতি মনে অসৎ ধারণা থাকলে এই উপায় করা উচিত। শুক্লপক্ষের প্রথম মঙ্গলবার দুধ দিয়ে চাল ধুয়ে, সেই চালটিকে নদী বা ঝরণায় প্রবাহিত করে দিন। সাত মঙ্গলবার এই উপায় করলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শান্তি ও সদ্ভাব থাকবে।
গ্রহের কুদৃষ্টি থেকে মুক্তির উপায়
কোষ্ঠিতে গ্রহের কুদৃষ্টি থাকলে জাতককে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার সকালে স্নান করে শিবলিঙ্গে কাঁচা দুধ অর্পণ করুন। লাগাতার সাত সোমবার এমন করলে গ্রহের কুদৃষ্টি দূর করা যাবে।
শারীরিক কষ্ট মুক্তির জন্য
বহুদিন ধরে কোনও কষ্টে ভুগতে থাকলে সোমবার রাত ৯টায় শিব মন্দিরে গিয়ে কাঁচা দুধে জল মিশিয়ে ওম জূং সঃ মন্ত্র জুপ করুন। ১০৮ বার এই মন্ত্র জপ করতে হবে। এর ফলে শারীরিক কষ্ট কমবে।
কেরিয়ারে উন্নতির জন্য
অনেক সময় কঠিন পরিশ্রমের পরও কেরিয়ারে সাফল্য লাভ করা যায় না। এর জন্য পূর্ণিমা, দ্বাদশী বা ত্রয়োদশী তিথিতে এক গ্লাস কাঁচা দুধ নদীর জলে প্রবাহিত করে দিন বা কুঁয়োয় ঢেলে দিন। লক্ষ্য রাখবেন সেই কুঁয়োয় যাতে জল থাকে।
আর্থিক অনটন দূর করার জন্য
লোহার পাত্রে দুধ, জল ও চিনি মিশিয়ে রেখে দিন। স্নানের পর এই মিশ্রণটি লক্ষ্মীর মূর্তির ওপর অর্পণ করুন। লক্ষ্মীর ওপর এই মিশ্রণটি অর্পণ করার পর অশ্বত্থ গাছের গোড়ায় ঢেলে দিন। এর ফলে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাবেন, আর্থিক অনটন দূর হবে। অর্থ বৃদ্ধিতে এই উপায় সহায়ক।
পথ দুর্ঘটনার হাত থেকে মুক্তি পেতে
কোনও জাতক বার বার পথ দুর্ঘটনার শিকার হলে কোনও মাসের শুক্ল পক্ষের মঙ্গলবার ধোয়া চাল দুধে দিয়ে জলে প্রবাহিত করে দিন। কয়েক মঙ্গলবার এমন করলে পথ দুর্ঘটনার হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
Post a Comment