শীতকালে এই ৬ ভুল একেবারেই করবনে না, বাস্তু দোষে বাড়বে সমস্যা!
ODD বাংলা ডেস্ক: অনেকেরই শীতকাল বিশেষ পছন্দের। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে জীবনযাপন প্রণালীতেও পরিবর্তন দেখা যায়। কলকাতায় এখন শীত পড়তে শুরু করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই লেপ, শাল, সোয়েটার ইত্যাদি গরম পোশাকে রোদ দেখানোর পালা শুরু হয়েছে। তবে শীতকালে বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণে কিছু বিষয় নজরে রাখা উচিত। ত না-হলে বাস্তু দোষের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। বাস্তু শাস্ত্র মতে আমরা শীতকালে এমন কিছু ভুল করে ফেলি, যা আমাদের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কোন ভুলের কথা বলা হচ্ছে জেনে নিন।
১. বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী সূর্য রশ্মি ইতিবাচক শক্তির প্রতীক। কথিত আছে যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছয় সেখানে কখনও নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। তাই শীতকালে কনকনে হাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে জানালায় কখনও মোটা পর্দা লাগাবেন না। জানালা খোলা রাখাই অধিক শ্রেয়। ঠান্ডা হাওয়া থেকে বাঁচতে জানালা বন্ধ করতে পারেন। কিন্তু জানালার কাঁচ থেকে আলো আসতে দিন।
২. শীতকালে বিছানার চাদর, সোফা কভার বা পর্দার রঙ নির্বাচন করার সময়ও সতর্ক থাকুন। শীতকালে লাল বা গোলাপী রঙের পর্দা টাঙান। ক্রকারি অর্থাৎ বাসনও এই রঙের আনতে পারেন। বাস্তু শাস্ত্রে এই রঙকে অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। বাস্তু মতে এর ফলে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের মধ্যে সম্পর্ক সবসময় ভালো থাকে।
৩. রান্নাঘরে এমন খাবার রাখুন, যা শরীর গরম রাখে। এ ক্ষেত্রে ড্রাইফ্রুট, লাড্ডু বা অন্য কোনও খাবারও রাখতে পারেন। এই মরশুমে ছোলা ও গুড়ের মতো খাদ্যবস্তু রাখতে পারেন, যা শরীর গরম করে। এই বস্তুগুলি পরিবারে ইতিবাচক শক্তি বজায় রাখে।
৪. বাস্তু অনুযায়ী শীতকালে বাড়িতে সাদা রঙের লাইটের পরিবর্তে হলুদ রঙের আলো ব্যবহার করুন। এই রঙটিকে উষ্ণ রঙ মনে করা হয়। শীতকালে নিজের আলোর মাধ্যমে ইতিবাচক শক্তির প্রভাব বিস্তার করতে পারে এই রঙ। বাড়ির অন্ধকার অংশগুলিতে এই রঙ ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
৫. শীতকালে অনেকে বাড়িতে হিটার লাগিয়ে থাকে। বাস্তু মতে হিটার সবসময় অগ্নিকোণ বা বায়ব্য কোণে রাখা উচিত। অন্য দিকে রাখলে বাস্তু দোষ উৎপন্ন হতে পারে।
৬. আবার অনেকে বাড়িতে মোমবাতি জ্বালান। শীতকালে দক্ষিণ দিকে লাল রঙের মোমবাতি জ্বালানো উচিত। দক্ষিণ দিকে লাল রঙের মোমবাতি জ্বালালে বাড়ি থেকে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব দূর হয় ও মানসিক শান্তি লাভ করা যায়।
Post a Comment