সিওপিডি কী?


 

ODD বাংলা ডেস্ক: আমাদের আশপাশে যে পরিমাণ দূষণ এ কারণেই হতে পারে শ্বাসকষ্টের রোগ। তেমনই একটি রোগের নাম ‘সিওপিডি’। বিজ্ঞানের ভাষায় রোগটির পুরো নাম ‘ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিসিস’। আজকে আমরা এই রোগ সম্পর্কেই জানব।


সিওপিডি


সিওপিডিতে যারা আক্রান্ত হয় তাদের ফুসফুসে অক্সিজেন সঠিকভাবে বা পরিমাণে যেতে পারে না। ফলে ফুসফুসে অক্সিজেন চলাচল কমে যায়। এর যেটা হয় শরীর থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইডও সহজে বের হতে পারে না। বিশেষজ্ঞদের মতে,  সিওপিডিতে পুরুষদের তুলনায় নারীরা আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি বেশি।  


লক্ষণ


১.  সিওপিডিতে আক্রান্ত হলে কোনো কারণ ছাড়াই দীর্ঘক্ষণ ধরে কাশি হতে থাকে।  


২. কাশি সহজে থামে না। প্রায় সারা দিন ধরেই চলতে থাকে।  


৩. চার থেকে আট সপ্তাহ এমন কাশির সমস্যা হলে সিওপিডি-এর লক্ষণ হতে পারে।  


৪. সিওপিডি হলে প্রচুর পরিমাণে কফ বুকে জমতে শুরু করে। কাশি বা হাঁচি দিলে বের হয়। কফের রং হলুদ বা সবুজ হলে বুঝবেন ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে।


৫.  শ্বাসকষ্ট কিন্তু সিওপিডির আরেকটি লক্ষণ। বেশি হাঁটলে বা শারীরিক পরিশ্রম করার পর শ্বাস নিতে অসুবিধা এবং  বুক ভরে শ্বাস নিলেও মনে হবে শ্বাস নিতে পারছি না।  


৬. আরেকটি লক্ষণ হলো কোনো শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া। দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে কারণ ছাড়াই ওজন কমে যেতে পারে।


তবে সঠিক সময়ে এই রোগ ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়া যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.